রক্ষকই ভক্ষক। উত্তরপ্রদেশে স্কুল যাওয়ার পথে বছর পনেরোর দলিত নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ। অভিযুক্ত উত্তরপ্রদেশ পুলিশের এক কনস্টেবল। গান পয়েন্টে রেখে একাদশ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। বুধবার ফারুক্কাবাদে ঘটনাটি ঘটেছে। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে পাকড়াও করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে নির্যাতিতার পরিবার।
পুলিশের কাছে দায়ের করা অভিযোগে নির্যাতিতা নাবালিকার বাবার দাবি, স্কুল যাওয়ার পথে রাস্তা থেকেই অপহরণ করা হয় তাঁর মেয়েকে। আচমকাই গাড়ি করে এসে বছর পঁয়ত্রিশের অভিযুক্ত ওই কনস্টেবল ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা ছাত্রীটিকে টেনে হিঁচড়ে গাড়িতে তোলে বলে অভিযোগ। এরপর ফাঁকা জায়গায় নিয়ে গিয়ে ওই কনস্টেবল নাবালিকাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। এমনকি মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে হুমকিও দেওয়া হয় বলে দাবি।
এদিকে, বিকেল গড়িয়ে গেলেও নাবালিকা বাড়ি না ফেরায় দুশ্চিন্তা বাড়ে পরিবারের। প্রায় ৫ ঘণ্টা পর নাবালিকার বাড়ির সামনে অভিযুক্ত কনস্টেবল নির্যাতিতাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে গাড়ি নিয়ে চম্পট দেয় বলে দাবি। প্রতিবেশীরা তা দেখা মাত্রই চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করলে নাবালিকার পরিবারের লোকজন বাইক নিয়ে পুলিশের গাড়ি ধাওয়া করতে শুরু করে। প্রায় ২০০ মিটার ধাওয়া করার পর পুলিশের গাড়িটিকে দাঁড় করায় তারা। চালক গাড়ি থেকে নেমে পালিয়ে গেলেও অভিযুক্ত হাতেনাতে ধরে পড়ে যায়। সন্ধেয় তাঁকে পুলিশের হাতে নাবালিকার পরিবারের তরফে তুলে দেওয়া হয় বলে জানান নির্যাতিতার বাবা।
ধর্ষণ, অপহরণ ও পকসো ধারায় ওই কনস্টেবলের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সঞ্জয় কুমার জানান, “বুধবার কনস্টেবলকে গ্রেফতার করার পর বৃহস্পতিবারই তাঁকে বরখাস্ত করা হয়েছে। নাবালিকাকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। ডিএসপি পদমর্যাদার আধিকারিকের নেতৃত্বে গোটা ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে।” তবে নির্যাতিতা ওই নাবালিকার বয়ান এখনও রেকর্ড করা হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে গোটা ঘটনায় প্রশ্নের মুখে যোগীর প্রশাসন। মহিলাদের নিরাপত্তার পাশাপাশি দলিতদের সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন জোরালো হচ্ছে