মারাঠি ভাষায় কথা না বলায় খাবারের দোকানদারকে প্রকাশ্যে মারধরের অভিযোগ উঠেছিল রাজ ঠাকরের মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা বা এমএনএস-র সমর্থকের বিরুদ্ধে। শুক্রবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিস বলেন, “ভাষার নামে কেউ যদি দাদাগিরি করে কিংবা হিংসা ছড়ায়, সরকার তা কোনওভাবেই সহ্য করবে না।”
ঘটনাটি ঘটেছে থানের ভায়ান্দার এলাকায়। অভিযোগ, রাজ ঠাকরের নেতৃত্বাধীন এমএনএসের কয়েক জন সমর্থক এমএনএসের স্কার্ফ পরে এক খাবারের দোকানে গিয়ে দোকানদার বাবুলাল খিমজি চৌধুরীকে মারধর করে। কারণ, তিনি মারাঠি ভাষায় কথা বলছিলেন না। ভিডিওতে ধরা পড়েছে, দোকানদারকে চড়-ঘুষি মারার পাশাপাশি তাঁকে গালাগালি করতেও দেখা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, হামলাকারীরা দোকানদারকে হুমকি দিয়ে বলে, “যদি মারাঠি না জানো, তবে মহারাষ্ট্রে থাকার অধিকার নেই। মারব, তাড়াব, দোকান ভেঙে দেব।” দোকানদার পাল্টা জানতে চান, “সরকারি নিয়মে কোথাও লেখা আছে যে মারাঠি না বললে দোকান চালানো যাবে না?” সেই প্রশ্নের উত্তরে আরও হিংস্র হয়ে ওঠে অভিযুক্তরা।
ঘটনার পরে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অভিযুক্তদের চিহ্নিত করা হয়েছে এবং তদন্ত শুরু হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী ফড়নবিস বলেন, “ভাষা নিয়ে গর্ব থাকতেই পারে, কিন্তু তা নিয়ে কারও ওপর অন্যায় করা যাবে না। আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া চলবে না।”
এদিকে ঘটনার প্রতিবাদে মীরা রোড ও থানে অঞ্চলে ব্যবসায়ীদের মধ্যে অসন্তোষ ছড়িয়েছে। তাঁরা দাবি জানিয়েছেন, দোকানে কোন ভাষায় কথা হবে, সেটা জোর করে চাপিয়ে দেওয়া যায় না।