শুলেই নাক ডাকতে শুরু করেন? বাড়ির লোকজন তো বিরক্তই, সঙ্গে নিজেরও অস্বস্তি বাড়ছে? নাক ডাকার সমস্যা নানা কারণে হতে পারে। ক্রনিক অ্যালার্জি বা স্লিপ অ্যাপনিয়ার মতো সমস্যার কারণে নাক ডাকার অভ্যাস তৈরি হয়, ঘুমিয়ে পড়লে যার ওপর কারও নিয়ন্ত্রণ থাকে না। তবে ঘুমের সময় নিজের পজ়িশন বদলে বা বিশেষ কিছু ডিভাইসের ব্যবহারে এই সমস্যার প্রাথমিক সমাধান করা যেতে পারে। তবে কখনওই নাক ডাকার সমস্যা এড়িয়ে যাওয়া উচিত না। রইল কিছু সহজ উপায় যেগুলো আপনাকে এই সমস্যা থেকে বের হতে সাহায্য করতে পারে।
পাশ ফিরে শোওয়ার অভ্যাস করুন। অনেক সময়ই দেখা যায় চিত হয়ে শুলে জিহ্বা মুখের ভিতর দিকে সরে যায় যার ফলে গলা দিয়ে শ্বাস-প্রশ্বাসের রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। পাশ ফিরে শুলে বাতাস সহজেই যাতায়াত করতে পারে এবং নাক ডাকার সমস্যা কমে। পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমের একান্ত প্রয়োজন। ৭ থেকে ৯ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন হয় একজন প্রাপ্তবয়স্কের। সেই ঘুম পুরো না হলে, ক্লান্তি থেকে নাক ডাকার প্রবণতা বাড়ে। বিছানার যে দিকে মাথা রাখেন সেদিকটা কয়েক ইঞ্চি উঁচু করে দিতে পারেন। এতে ঘুমের সময় শরীরে নাক বা মুখ দিয়ে বাতাস চলাচলের রাস্তা পরিষ্কার হয়। এই যাত্রাপথে বাধা পড়লেই নাক ডাকার ঘটনা ঘটে। কীভাবে বিছানা উঁচু করবেন? প্রয়োজনে একটা বালিশ বেশি নিতে পারেন মাথায়।
ঘুমনোর সময় নাকে স্টিক-অন নেজ়াল স্ট্রিপ ব্যবহার করতে পারেন। এতে নেজ়াল প্যাসেজে জায়গা বাড়ে এবং শ্বাস-প্রশ্বাসে সুবিধা হয়। এছাড়া ঘুমোতে যাওয়ার আগে অ্যালকোহল থেকে দূরে থাকাই শ্রেয়। শুতে যাওয়ার অন্তত ৩ ঘণ্টা বা তারও বেশি আগে মদ খাওয়া বন্ধ করে দেওয়া উচিত। কারণ অ্যালকোহল পেশিকে শান্ত করে দেয় যাতে নাক ডাকার প্রবণতা বাড়ে। এছাড়া অ্যালকোহল ঘুমে ব্যাঘাত ঘটায়। ধূমপানও ঘুমের ক্ষতি করে এবং নাক ডাকার প্রবণতা বিপুল পরিমাণে বাড়িয়ে দেয়। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। যদি স্থূলতার সমস্যা থাকে তাহলে ওজন কমানোর চেষ্টা করা প্রয়োজন।
তবে এসব প্রাথমিক উপায়। সমস্যা যদি দীর্ঘদিনের হয় বা ঘরোয়া উপায়েও যদি না মেটে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কিন্তু জীবনযাত্রায় ছোট্ট বদলও বড়সড় সমস্যার হাত থেকে বাঁচিয়ে দিতে পারে।