আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও ‘যোগ্য শিক্ষক ও শিক্ষিকা অধিকার মঞ্চ’ এর সদস্যদের শো-কজ করছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। শুক্রবার হাইকোর্টে এমনই অভিযোগ করলেন আন্দোলনকারী শিক্ষিকা সঙ্গীতা সাহা। সঙ্গীতা বলেন, “আমরা শান্তিশৃঙ্খলা মেনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছি কিন্তু অযথা নোটিস ও শো-কজ করে হেনস্থা করা হচ্ছে আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের”। আর এক আন্দোলনকারী শিক্ষক চিন্ময় মন্ডলের অভিযোগ
“জিজ্ঞাসাবাদের নোটিস পাঠিয়ে পরের দিনই থানায় হাজিরা দিতে বলে হেনস্থা করছে পুলিশ।” তাঁদের আরও দাবি বাড়িতে গিয়ে আন্দোলনকারীদের নোটিস দেওয়া হচ্ছে এমনকি যারা সেই দিনের ঘটনায় উপস্থিত ছিলেন না তাদেরকেও নোটিস পাঠানো হচ্ছে। পর্ষদ ও পুলিশের এহেন আচরণে ভয় পাচ্ছেন তাঁরা। মূল মামলাকারীদের আইনজীবী পুলিশের এই তদন্ত বন্ধ করার আবেদন করেন।
বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের পর্যবেক্ষণ, তদন্তের উপর স্থগিতাদেশ না দিলেও আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী পর্ষদ শো-কজ নোটিস দিতে পারে না। যদি এই কাজ পর্ষদ করে থাকে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ নেবে আদালত।” পর্ষদকে এই মামলায় যুক্ত করে এবং অন্তর্বর্তী নির্দেশের মেয়াদ ২৯ আগস্ট পর্যন্ত বৃদ্ধি করে বিচারপতির নির্দেশ, “এককভাবে অথবা যৌথভাবে কোনও আইনজীবীর মাধ্যমে অভিযোগের আবেদনপত্র জমা দিতে হবে আন্দোলনকারীদের।” এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগস্ট মাসে জানায় আদালত।