জশপ্রীত বুমরাহর অনুপস্থিতিতে বোলিংয়ে নেতৃত্বের দায়িত্ব ছিল তাঁর কাঁধে। হতাশ করলেন না মহম্মদ সিরাজ। তাঁর আগুনে স্পেলে ছারখার ইংল্যান্ড শেষ ৫ উইকেট হারাল মাত্র ২০ রানে। ৭০ রানে ৬ উইকেট তুলে নিলেন সিরাজ। অন্যদিকে বাংলার বোলার আকাশ দীপের ঝুলিতে বাকি ৪। দুই ভারতীয় পেসার মিলেই তুলে নিলেন ইংরেজদের ১০ উইকেট।
এদিন সকাল থেকেই দুরন্ত ছন্দে ছিলেন সিরাজ। প্রথম আধ ঘন্টার ভিতরেই তুলে নেন জো রুট এবং ইংল্যান্ডের অধিনায়ক বেন স্টোকসকে। এরপর অবশ্য শুধুই ব্যর্থতার সাক্ষী থেকেছে ভারতীয় দল। সিরাজ-আকাশকে সঙ্গ দিতে পারেননি কোনও বোলারই। তাদের বিরুদ্ধে স্বভাবসিদ্ধ ‘বাজবল’ খেলে দ্রুত রান তুলতে থাকেন জেমি স্মিথ এবং হ্যারি ব্রুক। লিডস টেস্টের ভিলেন প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ এক ওভারে দেন ২৩ রান। সব মিলিয়ে এক সময় মাত্র ৮২ ওভারেই ইংরেজদের স্কোর ছিল ৫ উইকেটে ৩৮৭ রান।
এরপর দিনের শেষ লগ্নে এসে ফের সিরাজ ম্যাজিক। প্রথমে ১৫৮ রানে ব্রুককে ফেরান আকাশ দীপ। এরপর এজবাস্টন শুধুই সিরাজময়। যার জেরে ৪০৭ রানেই গুটিয়ে গেল স্বাগতিকরা। প্রথম ইনিংসে শুভমন গিলের ভারত পেল ১৮০ রানের পর্বতসম লিড। যা ফের চলতি টেস্ট চালকের আসনে বসিয়ে দিল তাদের। ইংল্যান্ড যখন ৮৪ রানে ৫ উইকেট হারিয়েছিল তখন মনে করা হচ্ছিল তারা হয়ত ফলো অন বাঁচাতে পারবে না।
শেষপর্যন্ত সেটা না হলেও স্মরণীয় হয়ে থাকল সিরাজের দুর্দান্ত প্রত্যাঘাত। তাঁর এহেন পারফরম্যান্সে রীতিমত উচ্ছ্বসিত বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের কথায়, “বুমরাহ থাকলে যে দায়িত্ব পালন করতেন, সেই দায়িত্বই সিনিয়র হিসেবে নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন সিরাজ।” এদিকে দলের ব্যাটিংয়ে ধস নামলেও দুরন্ত ইনিংস খেলেছেন ইংল্যান্ডের উইকেট কিপার ব্যাটার জেমি স্মিথ। ২০৭ বলে ১৮৪ রানে অপরাজিত রয়ে গিয়েছেন তিনি।