পুণেতে তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগের ঘটনায় নাটকীয় মোড়। সন্দেহভাজন ডেলিভারি এজেন্টকে গ্রেফতার করে তদন্ত এগোতেই চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে পেল পুলিশ। শুক্রবার পুলিশ জানায়, অভিযুক্ত ডেলিভারি এজেন্ট ও অভিযোগকারিণী পূর্ব পরিচিত। এমনকী তারা পরস্পরের বন্ধুও। এখানেই শেষ নয়, অভিযুক্তের সঙ্গে সেলফি তুলেছিলেন মহিলা নিজেই। পরে ডেলিভারি এজেন্টের ফোন থেকে ‘ফিরে আসব’ মেসেজও নিজেই লেখেন অভিযোগকারী তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী। শুক্রবার এমনটাই জানালেন পুলিশ কমিশনার অমিতেশ কুমার।
বছর বাইশের ওই তরুণীর অভিযোগ ছিল, এক ডেলিভারি এজেন্ট সই করানোর নাম করে ঘরে জোর করে ঢুকে তাঁকে ধর্ষণ করে। বেহুঁশ হয়ে গিয়েছিলেন বলেও অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন তরুণী। তাঁর কথায়, ধর্ষণের পর ঘর থেকে পালাবার আগে অভিযুক্ত ডেলিভারি এজেন্ট নাকি তরুণীর ফোন থেকে সেলফিও তোলে। কাউকে ঘটনার কথা জানালে সেই ছবি সমাজমাধ্যমে ফাঁস করার হুমকিও নাকি অভিযুক্ত দিয়েছিল বলে দাবি করেন তরুণী।
বুধবারে ধর্ষণের অভিযোগ পেয়ে শুক্রবার সকালের মধ্যেই সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুণে সিটি পুলিশের তরফে বলা হয়, “সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তরুণীর সঙ্গে অভিযুক্তের পূর্ব পরিচিতি রয়েছে কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” সকালে পুলিশের এই বয়ানের পরই বিকেলে কার্যত ৩৬০ ডিগ্রি মোড় নিল তদন্ত।
পুণের সিপি জানান, “ধৃত ব্যক্তি কোনও ডেলিভারি এজেন্টই নন। বরং গত এক বছর ধরে তরুণীর সঙ্গে বন্ধুত্ব রয়েছে তার। জোর করে সে তরুণীর ঘরে ঢোকেনি। এমনকী তরুণীর মুখে কিছু স্প্রে-ও করা হয়নি। সেলফিও দুজনের সম্মতিতে নেওয়া হয়েছিল। এমনকি ওই ব্যক্তি বেরিয়ে যাওয়ার সময় হুমকি মেসেজও তরুণী নিজেই লিখে দিয়েছিলেন।” পুলিশ আরও জানায়, তরুণীর মানসিক অবস্থা বর্তমানে ঠিক নেই। তাই তাঁর অভিযোগের সত্যতা যাচাই করে দেখা হচ্ছে।