আজ টয়ট্রেন ডে। বলা ভাল টয়ট্রেনের জন্মদিন। আর আজকের এই শুভ দিনেই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির দাবি উঠল ইউনেসকো ঘোষিত হেরিটেজ দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ের (ডিএইচআর)। এই বিশেষ দিনে সুকনায় নর্থ বেঙ্গল পেইন্টার্স অ্যাসোসিয়েশন ও ডিএইচআর কর্তৃপক্ষ টয়ট্রেনের জন্মদিন উদযাপনের আয়োজন করে। আর এই দিনেই উঠল টয়ট্রেনের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির দাবি।
এই ঐতিহ্যবাহী ট্রেনের পথ চলা শুরু ১৮৮১ সালের ৪ জুলাই। এই দিনেই প্রথম বারের জন্য শিলিগুড়ি থেকে চড়াই উৎরাইয়ে ভরা পাহাড়ি পথে রওনা দিয়েছিল ঐতিহ্যবাহী টয়ট্রেন। সেই দিনটিকে স্মরণ করেই প্রতি বছর পালিত হয় ‘টয়ট্রেন দিবস’। সুকনা স্টেশনে আয়োজিত টয়ট্রেন দিবসের অনুষ্ঠানে শিশু শিল্পীদের পরিবেশনায় টয় ট্রেনকে নিয়ে গান, লাইভ পেন্টিং, পোস্টার পেইন্টিং এবং বসে আঁকো প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠান চলে সকাল থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত। আর অংশগ্রহণকারীদের জন্য বিশেষ উপহার আর বাড়তি আকর্ষণ হিসেবে ছিল হেরিটেজ টয়ট্রেনে সুকনা-রংটং সফর।
এ প্রসঙ্গে নর্থ বেঙ্গল পেইন্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সুজয় মিত্র জানান,”টয়ট্রেন ইউনেসকো হেরিটেজ হিসেবে স্বীকৃত হলেও এর জন্মদিনকে আন্তর্জাতিক গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। আজকের এই দিনটিকে ইউনেসকোর আন্তর্জাতিক ক্যালেন্ডারে জায়গা দেওয়া হোক, এই দাবিই আমাদের। আমরা চাই, ডিএইচআর কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে পদক্ষেপ করুক।” ডিএইচআরের ডিরেক্টর রিশভ চৌধুরি ফোনে জানান, “এই প্রস্তাব আমরা অবশ্যই উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাব। আশা করব, বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচিত হবে।” সুকনা স্টেশন ম্যানেজার তপন মালাকার বলেন, “আজকের দিনটি ঐতিহাসিক। এই দিনেই শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং পর্যন্ত টয়ট্রেন চালু হয়েছিল। এবার থেকে এই দিনটি প্রতি বছর নিয়মিতভাবে উদযাপন করা হবে।”স্কুলছাত্র অঙ্কিত দাস বলেন, “খুব ভালো লাগছে আজ এখানে থাকতে পেরে। টয়ট্রেন আমাদের গর্ব। এর জন্মদিনে থাকতে পারা দারুণ অভিজ্ঞতা।”
১৯৯৯ সালের ৫ ডিসেম্বর দার্জিলিং হিমালয়ান রেল ইউনেসকোর হেরিটেজ তকমা পায়। হেরিটেজের মর্যাদা টিকিয়ে রাখা ডিএইচআরের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। তবে, বর্ষাকালে ধস ও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মতো প্রতিকূলতাকে পিছনে ফেলে, আজও নিজস্ব ঐতিহ্য নিয়ে স্বমহিমায় গড়াচ্ছে টয়ট্রেনের চাকা।