এজবাস্টন টেস্টের তৃতীয় দিনের শেষবেলায় জ্বলে উঠেছিলেন মহম্মদ সিরাজ। তাঁর আগুনে বোলিংয়ে প্রথম ইনিংসে ১৮০ রানের বড় লিড পেয়েছে ভারত। এ দিকে সিরাজের প্রত্যাঘাতের দিনেই এক লজ্জার নজির গড়ে ফেললেন আর এক ভারতীয় পেসার। এ বছরের আইপিএলেই সবচেয়ে বেশি উইকেট (২৫) নিয়ে বেগুনি টুপি জিতেছিলেন প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে এজবাস্টনের দ্বিতীয় টেস্টে সেই তিনিই গড়লেন ওভার প্রতি সবচেয়ে বেশি রান খরচ করার লজ্জাজনক রেকর্ড।
প্রসিদ্ধের বোলিং নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল লিডস টেস্টেই। এর পরেও তাঁকে রেখেই দ্বিতীয় টেস্টের দল নির্বাচন করে টিম ম্যানেজমেন্ট। শুক্রবার বল করতে এসে এক ওভারে ২৩ রান দেন এ বারের আইপিএলে বেগুনি টুপির মালিক। সার্বিক ভাবে ১৩ ওভারে ৫.৫ ইকোনমি রেটে খরচ করেন ৭২ রান। আর এতেই গড়ে ফেলেন এক লজ্জার রেকর্ড। টেস্ট ক্রিকেটে অন্তত ৫০০টি বল করেছেন এমন বোলারদের মধ্যে ওভার পিছু সবথেকে বেশি রান খরচ করার তালিকায় শীর্ষস্থানে উঠে এসেছেন প্রসিদ্ধ। ছাপিয়ে গিয়েছেন নিজের দেশেরই আরেক প্রাক্তন জোরে বোলার বরুণ অ্যারনকে। টেস্ট যাঁর ইকোনমি রেট ৪.৭৭। প্রসিদ্ধ সেই রেকর্ড ভেঙে ওভার পিছু এখনও পর্যন্ত খরচ করেছেন ৫.২৮ রান।
টিম ইন্ডিয়ার স্কিডি যেন চোখে আঙুল দিয়েই দেখিয়ে দিচ্ছেন, আইপিএলে সফল হলেই টেস্ট খেলার যোগ্য হওয়া যায় না। এ বারের আইপিএলে সবথেকে বেশি উইকেটের মালিক তিনি। এ দিকে শুক্রবারের এজবাস্টনে ছন্দে থাকা মহম্মদ সিরাজ এবং আকাশ দীপকে যে রকম সাহায্য তাঁর করার কথা ছিল, তার কণামাত্রও করতে পারেননি। বরং এক ওভারে ইংরেজ ব্যাটার জেমি স্মিথ তাঁকে ৪টি চার এবং ১টি ছক্কা মেরে তোলেন মোট ২৩ রান। হ্যাঁ, এটিও একটি রেকর্ড বটে। টেস্ট ক্রিকেটে ভারতীয় বোলারদের এক ওভারে সবথেকে বেশি রান দেওয়ার তালিকায় স্কিডির এই ওভার থাকছে চতুর্থ স্থানে। তালিকার শীর্ষে হরভজন সিং। ২০০৬ সালে লাহোরে এক ওভারে ২৭ রান দিয়েছিলেন তিনি।