একা পন্থে রক্ষা নেই, গিল দোসর। নাকি ভুল হল কথাটা? অন্তত চলতি টেস্টের পরিপ্রেক্ষিতে লাইমলাইটের সিংহভাগ তো ভারত অধিনায়কেরই প্রাপ্য। প্রথম ইনিংসে ২৬৯ এর পর এজবাস্টনের দ্বিতীয় ইনিংসে ফের সেঞ্চুরি। এতদিন সুনীল গাভাসকারই ছিলেন ভারতের একমাত্র ব্যাটার, একই টেস্টের দুটি ইনিংসে সেঞ্চুরি এবং ডাবল সেঞ্চুরি করার নজির গড়েছেন। এবার সেই তালিকায় নিজের নাম লিখিয়ে ফেললেন শুভমন গিলও।
অথচ মাত্র কয়েকটা দিন আগেই এই গিলকে নেতৃত্বের দায়িত্ব দেওয়া তো বটেই, এমনকি ইংল্যান্ড সফরের দলে তাঁর অন্তর্ভুক্তি নিয়েই তর্ক-বিতর্কের ঝড় বয়ে গিয়েছিল গোটা দেশজুড়ে। বইবে নাই বা কেন? গিলের ব্যাটিং টেকনিকে অন্যতম বড় ত্রুটি ছিল তাঁর ফ্রন্টফুট দুর্বলতা। খুব স্বাভাবিকভাবেই তাই এই প্রশ্ন উঠে আসছিল যে, বিলেতের মাটিতে কতটা কী করতে পারবেন গিল?
জাজবাত বাংলায় আরও পড়ুন
২ টেস্টের ৪ ইনিংসে দুটি সেঞ্চুরি আর একটি ডাবলে সে প্রশ্ন যে ভারতীয় অধিনায়ক যে কার্যত ইংলিশ চ্যানেলের জলে ছুঁড়ে ফেলেছেন তা বলাই বাহুল্য। নেতৃত্বের ভার কাঁধে চাপার পর যে দায়িত্ব নিয়ে ব্যাট করছেন তিনি তাতে একটি বিষয় স্পষ্ট। নেতৃত্ব বোঝা নয়। বরং সেটিই পরিণত করে তুলেছে একদা ফ্রন্টফুটে দুর্বল গিলকে। যদিও এরপরেও তাঁর অধিনায়কত্ব নিয়ে প্রশ্ন থাকবে বৈকি। চতুর্থ দিনের চা পান বিরতিতে ভারতের লিড ৪৮৪। এরপরেও কি নিশ্চিতভাবে বলার উপায় আছে যে ম্যাচ ভারতের পকেটে? গত লিডস টেস্টে ৩৭২ বাঁচাতে না পারার পরিপ্রেক্ষিতে ইংল্যান্ডের ‘বাজবল’ যেমন চিন্তার বিষয়। প্রসিদ্ধ কৃষ্ণের বোলিং যেমন চিন্তার বিষয়। তেমনিই চিন্তার বিষয় গিলের নেতৃত্ব। নেতৃত্বের ভার ব্যাটার গিলকে পরিপক্ক করে তুলেছে। এ বার সেই নেতৃত্বেরই পরিপক্ক হওয়ার অপেক্ষা।