জ্বর-সর্দিকাশি, পেটে সমস্যার মত ছোটোখাটো অসুখ সব বাড়িতেই লেগে থাকে। তাই সব সময় অসুধ কেনাও লেগেই রয়েছে। ছোটোখাটো অসুখে মেডিক্যাল স্টোরে গিয়ে বললেই ওষুধ দিয়ে দেয়। সেই ওষুধ বেমালুম কিনে আমরা খেয়েও ফেলি। যাচাই করে দেখি না বা জানিও না সেটা আসল না নকল! বেশ কিছু মামলায় দেখা গিয়েছে বেশ নামি-দামি ওষুধ দিনের পর দিন খেয়েও সমস্যা কমছে না বরং বেড়েই চলেছে। পরে জানা গেছে সেই ওষুধটি আসলে জাল। ভাবুন একবার, ওষুধ আসল না নকল সাধারণ মানুষের পক্ষে কি তা জানা সম্ভব।
কিছুদিন আগেই নানা জায়গা থেকে ভুরিভুরি নকল ওষুধ ধরা পড়ার পরই সামনে এসেছে এই অসাধু চক্রের কারবার। তবে এই নকল করার পদ্ধতি দেখে হতবাক স্বয়ং ড্রাগ কন্ট্রোল দপ্তর। ওষুধ যাচাই করার জন্য ওষুধের প্যাকেটের ওপরে যে কিউআর কোড থাকে তা পর্যন্ত হুবহু নকল করেছে জালিয়াতরা। বাদ দেয়নি ব্যাচ নম্বরও। তারপরই ড্রাগ কন্ট্রোল এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, এমন কায়দায় ওষুধগুলো বানানো হয়েছে যে ধরার কোনও উপায় ছিল না। যে কারণে আসল-নকল সব ওষুধই সমান তালে বাজারে বিকোচ্ছিল। এভাবেই এতদিন ধরে চলছিল অসাধু কারবার।
ইউটিউবেও আপডেট থাকুন সর্বদা আমাদের সঙ্গে jazzbaat24bangla
এই নকল করার বড় উদাহরণ প্রথম পাওয়া যায় হাওড়ার আমতা থেকে উদ্ধার হওয়া লক্ষ লক্ষ টাকার জাল ওষুধ দেখে। এখান থেকে প্রায় ১ কোটি ৮৬ লক্ষ টাকার জাল অসুধগুলির মধ্যে বেশিরভাগটাই ছিল মূলত উচ্চ রক্তচাপের বা হাই ব্লাড প্রেশারের ওষুধ। এই ওষুধটি হল ‘টেলমা’ (Telma)। যা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ বা প্রয়োজনীয় ওষুধ হিসেবেই ধরা হয়। উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভোগা মানুষরা এই ওষুধটি সম্পর্কে বেশ ভালোভাবেই জানেন। এই ওষুধটি জাল করে এখন থেকে পাচার করা হচ্ছিল।
নাকাল ওষুধের চাপে পরে সাধারণ মানুষকে কিউআর কোড স্ক্যান করে নির্দিষ্ট ব্যাচের ওষুধ পরীক্ষা করার পর কেনার পরামর্শ দিয়েছে রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল। রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল তরফে বলা হয়েছে, ওষুধ কেনার পর নিজের ফোনের স্ক্যানারে গিয়ে কিউআর কোড স্ক্যান করলে সেই ওষুধের সমস্ত হাল-হকিকত ভেসে উঠবে। জানা যাবে তার ব্যাচ নম্বরও। কিন্তু যদি সেই ওষুধটি জাল হয় তাহলে তার কোনো তথ্যই পাওয়া যাবে না সেখানে। এতো জানা গেল পদ্ধতি। কিন্তু এরপরও প্রশ্ন থেকেই যায়, সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে সবসময় অষুধের কিউআর কোড দেখে ওষুধ কেনা সম্ভব। কজন মানুষ এই কিউআর কোড স্ক্যান করার পদ্ধতি বা বিষয়টি জানেন ?