রেজিস্টার্ড অস্বীকৃত রাজনৈতিক দল ভারতীয় নিউ ডেমোক্র্যাটিক পার্টিকে শো কোজ করল মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। আগামী ১৭ জুলাই দুপুর ২ টোয় পার্টি নেতৃত্বকে শুনানির জন্য ডাকা হয়েছে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে।
দলের প্রধান , সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদককে এই শুনানিতে হাজির থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক। যদি সংশ্লিষ্ট দল কোনো পদক্ষেপ না করে তাহলে সেই নিবন্ধিত অস্বীকৃত রাজনৈতিক দলকে নিষ্ক্রিয় ঘোষণা করা হবে বলে কমিশন সূত্রের খবর।
জাতীয় নির্বাচন কমিশন আগেই বাংলার ৮টি রেজিস্টার্ড অস্বীকৃত রাজনৈতিক দলের তালিকা পাঠায় মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে। যাদের প্রকৃত অস্তিত্ব নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে খোদ নির্বাচন কমিশনই। অথচ কমিশনের রেজিস্টার্ড দল হিসেবে তাঁরা কর ছাড় সহ একাধিক সরকারি সুযোগ-সুবিধা নেন, আলাদা নির্বাচনী প্রতীক পাওয়ার সুবিধা ভোগ করেন এবং নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বেশ কিছু আর্থিক সুযোগ সুবিধাও ভোগ করে। অথচ পশ্চিমবঙ্গে তাদের অস্তিত্ব আছে কিনা তা নিয়েই সন্দিহান খোদ নির্বাচন কমিশন। কারণ দীর্ঘদিন ধরে এই সমস্ত রেজিস্টার্ড অস্বীকৃত রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে কমিশনের পাঠানো বিভিন্ন নোটিশ বা চিঠিপত্র ‘নো রিপ্লাই’ হয়ে ফেরত আসে।
ইউটিউবেও সর্বদা আপডেট থাকুন আমাদের সঙ্গে
দীর্ঘদিন এই পরিস্থিতি চলার পর এবার কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে নির্দেশ দেন নিজস্ব মেকানিজম কাজে লাগিয়ে এই ‘ নিখোঁজ ‘ অথচ রেজিস্টার্ড রাজনৈতিক দলগুলির অস্তিত্বের খোঁজখবর নেওয়ার জন্য। যদি প্রমাণিত হয় যে রাজ্যে নির্বাচন কমিশনের শর্ত অনুযায়ী তাদের অস্তিত্ব নেই তাহলে এই “অস্তিত্বহীন” অথচ রেজিস্টার্ড অস্বীকৃত রাজনৈতিক দলগুলির রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা হবে।
কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক এর দপ্তর এ বিষয়ে পদক্ষেপ করে। এবার সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ‘শো কজ’ করা হল অভিযুক্ত রেজিস্টার্ড অস্বীকৃত রাজনৈতিক দল ভারতীয় নিউ ডেমোক্র্যাটিক পার্টিকে। এরপরেও যদি ওই রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে স্পষ্ট বার্তা না আসে তাহলে কেড়ে নেওয়া হবে তাদের রেজিস্ট্রেশন।
অর্থাৎ আর নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেনা ওই রাজনৈতিক দল এবং নির্দিষ্টভাবে রাজনৈতিক দলের তকমাও হারাবে।
যদি পরবর্তীতে এই দলটি রাজনৈতিক দলের স্বীকৃতি পেতে চায় তাহলে নতুনভাবে তাদের ফের আবেদন করতে হবে নির্বাচন কমিশনে।
যদিও সেই আবেদন গ্রাহ্য করা হবে কিনা তা বিবেচনা করবে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। কারণ সেক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলটির অতীত বিচার বিশ্লেষণ করা হবে।