বেঙ্গালুরুতে হাড়হিম ঘটনা। দাম্পত্য কলহের জেরে স্বামীকে খুন করে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা স্ত্রীয়ের। যদিও শেষরক্ষা হল না। ময়নাতদন্তে ধরা পড়ে গেল খুনি স্ত্রীয়ের কুকীর্তি। পুলিশি জেরায় খুনের কথা স্বীকার করলেন স্ত্রী। গত ২৭ জুনের ঘটনা। স্বামীকে খুনের দায়ে অভিযুক্ত স্ত্রীকে জেল হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত।
জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম ভাস্কর। বয়স একচল্লিশ বছর। পেশায় সিভিল ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। প্রথম বিয়ে ভেঙে যায় তাঁর। দ্বিতীয়বার বিয়ে করেছিলেন বছর বত্রিশের শ্রুতির সঙ্গে। বেঙ্গালুরুর সুড্ডাগুন্তেপালয়া এলাকায় থাকতেন দু’জনে। ১২ বছর ধরে সংসার করছেন তাঁরা। দুটি সন্তানও রয়েছে তাঁদের। পুলিশ জানিয়েছে, সংসারে প্রায়ই অশান্তি লেগেই থাকত তাঁদের।
জাজবাত বাংলায় আরও পড়ুন
মাসে ১ লাখ টাকার উপর আয় করতেন ভাস্কর। কিন্তু তাঁর স্ত্রীয়ের দাবি, বাড়ির পরিচারিকার প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েছিলেন ভাস্কর। তাই আয়ের সিংহভাগ পরিচারিকাকে দিয়ে দিতেন। সেনিয়েই চরমে পৌঁছত দাম্পত্য কলহ। গত মাস থেকে ভাস্কর অফিস থেকে বাড়ি ফেরা বন্ধ করে দেয়। বন্ধুদের সঙ্গেই থাকতেন বলে দাবি। গত ২৭ জুন নেশাগ্রস্ত হয়ে বাড়ি ফেরেন তিনি। এরপরই রাগের বশে স্বামীকে মারতে উদ্যত হন স্ত্রী শ্রুতি।
পুলিশি জেরায় শ্রুতি জানান, কাঠের খুন্তি দিয়ে ভাস্করের মুখে আঘাত করেন তিনি। ঘটনাস্থলেই মারা যান ভাস্কর। এদিকে খুনের প্রমাণ লোপাট করতে ফন্দি আঁটেন শ্রুতি। স্বামীর মৃতদেহ বাথরুমে নিয়ে গিয়ে স্নান করান। তারপর গা মুছিয়ে বিছানায় শুইয়ে দেন। পরদিন সকালে পুলিশ এলে মিথ্যে ঘটনা সাজান শ্রুতি। মদ খেয়ে ঘুমের ঘোরেই ভাস্করের মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিশকে জানান শ্রুতি। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায় পুলিশ। তখনই ধরা পড়ে যায় আসল সত্য। খুনের কথা কবুল করে নেন শ্রুতি। তাঁকে গ্রেফতার করে আদালতে পেশ করে পুলিশ। বর্তমানে জেল হেফাজতে রয়েছেন শ্রুতি। ঘটনার তদন্ত জারি রেখেছে পুলিশ।