২১ জুলাইয়ের আগেই বাংলায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আগামী ১৮ জুলাই দমদম সেন্ট্রাল জেলের মাঠে সভার কথা আছে। বিজেপি সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে সেই সভার প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছে বঙ্গে বিজেপি নেতৃত্ব। এমনকী সভা যাতে সফল হয় সেজন্য সাত সদস্যের কমিটিও গঠন করা হয়েছে। চলছে দফায় দফায় বৈঠক। তবে বিজেপি সূত্রের আরও খবর, একটি নয়, ২১ শে জুলাইয়ের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দুটি সভা হতে পারে। দমদমের পাশাপাশি সভা হতে পারে দুর্গাপুরেও। আর তা হবে আগামী ১৮ জুলাই। ফলে তৃণমূলের শহিদ দিবসের আগে ব্যাক টু ব্যাক মোদীর সভার খবর সামনে আসতেই ক্রমশ বাড়ছে রাজনৈতিক পারদ।
বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনের বাকি ৭-৮টা মাস! আর এই নির্বাচনকে ঘিরে পাখির চোখ শাসক-বিরোধী সব রাজনৈতিক দলের। ইতিমধ্যে ময়দানে নেমে পড়েছে তৃণমূল। ভোটার কার্ড সহ একাধিক ইস্যুকে সামনে রেখে জনসংযোগে জোর দিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। পালটা বঙ্গ বিজেপিতেও বড়সড় রদবদল হয়েছে! নয়া রাজ্য সভাপতি হিসাবে শমীক ভট্টাচার্যকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। দায়িত্ব নেওয়ার পরেই ময়দানে নেমে পড়েছেন শমীক। বুথস্তরে সাংগঠনিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছেন।
জাজবাত বাংলায় আরও পড়ুন
এর মধ্যেই মোদীর সভা বিজেপি নেতা-কর্মীদের বাড়তি অক্সিজেন জোগাবে বলেই মত রাজনৈতিকমহলের। যদিও মোদীর দুর্গাপুরের সভার বিষয়ে সরকারি ভাবে বঙ্গ বিজেপির তরফে সরকারি কিছু জানা যায়নি। তবে সূত্রের খবর, দমদম সেন্ট্রাল জেলের মাঠে সভার পর দুর্গাপুরে উড়ে যেতে পারেন নরেন্দ্র মোদী। যদিও শেষমেশ কি হয় সেদিকেই নজর সবার। বলে রাখা প্রয়োজন, চলতি বছরের মে মাসেই উত্তরবঙ্গে সভা করেন। প্রথমে সরকারি সভা করে এরপর জনসভায় যোগ দেন। আর সেখান থেকেই ২৬ এর ভোটের দামামা বাজিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
কড়া ভাষায় তৃণমূল এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ শানান। নারী নিরাপত্তা, দুর্নীতি সহ একাধিক ইস্যুকে সামনে রেখে তোপ দাগেন। বলেন, নির্মম সরকার আর চায় না বাংলা। ২৬ এর ভোটে তৃণমূলকে বিসর্জনের ডাক দেন। একই সঙ্গে বাংলার উন্নয়ন যে বিজেপি সরকারের প্রধান অগ্রাধিকার হবে তাও উত্তরবঙ্গ থেকে স্পষ্ট করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এবার সভা দক্ষিণবঙ্গে। সেই সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী কি বার্তা দেন সেদিকেই নজর থাকবে।
ইউটিউবেও জাজবাত, আপডেট থাকুন আমাদের সঙ্গে
শোনা যাচ্ছে, দমদমে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে পারেন চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকারা। আজ শনিবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যের সঙ্গে দেখা করেন চাকরিহারারা। দীর্ঘক্ষণ বৈঠকের পরে এক যোগ্য চাকরিহারা জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর সভায় আমরা সবাই প্রয়োজনে যাব। সুযোগ থাকলে পুরো পরিস্থিতি মোদীকে জানাবেন বলেও জানিয়েছেন।