ছয় বছর আগে খুন হয়েছিল ছেলে! ঠিক একই কায়দায় পটনায় খুন প্রখ্যাত ব্যবসায়ী! বাইকে করে দুষ্কৃতীরা এসে গোপাল খেমকাকে গুলি করে খুন করল। ঠিক ছয় বছর আগে গোপাল খেমকার ছেলে গুঞ্জন খেমকাও ঠিক একইভাবে খুন হয়েছিলেন।
প্যানাশ হোটেলের পাশেই খেমকা পরিবারের বাস। শুক্রবার রাতে পটনার গান্ধি ময়দানের পাশে নিজের অ্যাপার্টমেন্টের সামনে গাড়ি থেকে নামার সময় ওই ব্যবসায়ীকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। পাটনার অন্যতম প্রাচীন বেসরকারি হাসপাতাল ‘মগধ হাসপাতাল’-এর মালিক ছিলেন মৃত গোপাল খেমকা। পাশাপাশি তিনি বাঁকিপুর ক্লাবের পরিচালকও ছিলেন।
খেমকার ভাই শঙ্কর খেমকা অভিযোগ করেছেন, ঘটনার পর তিন ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়নি। তিনি বলেন, রাত ১১টা ৪০ মিনিটে গাড়ি থেকে নামার সময় গোপাল খেমকাকে গুলি করা হয়, কিন্তু পুলিশ পৌঁছয় রাত ২টা ৩০ মিনিটে। এই ঘটনাকে ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই খুনে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাজনীতিকরা। ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন সাংসদ পাপ্পু যাদব। তার নীতীশ সরকারের ‘সুশাসন’-এর দাবিকে বিঁধেছেন কংগ্রেস সাংসদ।
আরজেডি নেতা ঋষি মিশ্র সংবাদমাধ্যমে বলেন, “এই সরকার পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। মুখ্যমন্ত্রী ঘুমন্ত অবস্থায় রয়েছেন। পুলিশ মদের চোরাচালান ধরতেই ব্যস্ত, সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা তাদের এজেন্ডায় নেই।” পাটনা পুলিশের সিনিয়র অফিসার দীক্ষা কুমারী জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত চলছে, আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তিনি বলেন, “৪ জুলাই রাত ১১টার দিকে গোপাল খেমকা খুন হওয়ার খবর পাই। ঘটনাস্থল থেকে একটি গুলি ও একটি বন্দুকের খোল উদ্ধার হয়েছে। তদন্ত চলছে।”
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে বাইকে করে আসা অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হন ব্যবসায়ী গোপাল খেমকার ছেলে গুঞ্জন খেমকা। সেই সময় তিনি পটনার বাইরে বৈশালিতে ছিলেন। গুঞ্জন খেমকার তুলো কারখানার সামনে গাড়ি থেকে নামার সময় তাঁকে লক্ষ করে গুলি চালানো হয়।