২২ গজে ব্যাটার সেঞ্চুরি বা ডাবল সেঞ্চুরি করলে রেকর্ড হয়। তা বলে ‘ডাক’ (Duck) অর্থাৎ শূন্য রান করলেও রেকর্ড হয়? হয় হয়, খেলাটির নাম ক্রিকেট বলেই হয়। আর পরিসংখ্যানগতভাবে সেই শূন্য রানের যদি কোনও বিশেষত্ব থাকে তাহলে তো কথাই নেই। শুক্রবারের এজবাস্টনে সে রকমই একটি বিশেষ শূন্য রানের ইনিংস খেলে ইতিহাসের পাতায় জায়গা করে নিলেন ইংল্যান্ডের ব্রাইডন কার্স।
কোনও ব্যাটার ক্রিজে এসে খাতা না খুলেই শূন্য রানে ফিরে গেলে ক্রিকেটের পরিভাষায় তাকে বলা হয়, ‘ডাক’। অর্থাৎ হাঁস। হাঁসের ডিমের আকৃতি থেকে এই পরিভাষাটির জন্ম। কারণ শূন্যকে অনেকটা হাসের ডিমের মতই দেখায়। অবশ্য এই ‘ডাকে’র মধ্যেও শ্রেণিবিভাগ রয়েছে। ব্যাটার যদি প্রথম বলেই ফিরে যান তাকে বলে ‘গোল্ডেন ডাক’। দ্বিতীয় বলে ফিরে গেলে সেটি ‘সিলভার ডাক’। আবার যদি ব্যাটার কোনও বল না খেলেই রান আউট হন সেক্ষেত্রে বলা হয়, ‘ডায়মন্ড ডাক’। অবশ্য এতে আর বিশেষত্বই বা কী? আর নতুনত্বই বা কোথায়? আজ পর্যন্ত টেস্টে ক্রিকেটে কতজনই তো শূন্য রানে আউট হয়েছেন। তা হলে শুক্রবার ব্রাইডন কার্স ৪ বলের ‘ডাক’ হয়ে কী এমন বিশেষ কাণ্ড ঘটালেন?
বিশেষ কাণ্ড এই যে, এদিন মহম্মদ সিরাজের বলে কার্স এলবিডব্লিউ হতেই টেস্ট ক্রিকেটের আঙিনায় ডাকে’র সেঞ্চুরি নয়— একেবারে সেঞ্চুরি অব সেঞ্চুরিস হয়ে গেল। অর্থাৎ ব্রাইডন কার্সের এই শূন্য রানের ইনিংস টেস্ট ক্রিকেটের ১৪৮ বছরের ইতিহাসে ১০ হাজার তম ‘ডাক’। রেকর্ড বৈকি! নিঃসন্দেহে এটি এক অভূতপূর্ব রেকর্ড। ইতিহাসে প্রথম ‘ডাক’ হয়েছিলেন ১৮৭৭ সালে সর্বপ্রথম টেস্ট ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার নেড গ্রেগরি। অবশ্য এজবাস্টনে ইংল্যান্ডের ইনিংসে কার্সই শেষ ব্যক্তি নন যিনি ডাক হয়েছেন। এরপর শূন্য রানে ফেরেন জশ টাং এবং শোয়েব বসিরও।