দীর্ঘ ২০ টা বছর! একটা সময় বন্ধ ছিল মুখ দেখাদেখি। কিন্তু হিন্দি আগ্রাসন রুখতে হাতে হাত মিলিয়েছেন দুই ভাই অর্থাৎ রাজ ঠাকরে এবং উদ্ধব ঠাকরে। শুধু তাই নয়, হিন্দি ভাষা চাপিয়ে দেওয়া হলে তাঁরা যে ঘরে বসে থাকবেন তাও হুঁশিয়ারি দিলেন। এই প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখতে গিয়ে উঠে এল বাংলার প্রসঙ্গও।
জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০ অনুসারে তিন ভাষা কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নেয় ফড়ণবীশ সরকার। মহারাষ্ট্রের স্কুলগুলিতে এই সংক্রান্ত নির্দেশিকাও দেওয়া হয়। যেখানে তৃতীয় ভাষা হিসাবে হিন্দি বাধ্যতামূলক করার কথা বলা হয়। আর এহেন সিদ্ধান্ত ঘিরেই মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে ঝড় ওঠে। প্রবল চাপের মুখে নির্দেশিকা তুলে নেওয়া হয়।
আর এরপরেই রাজ ঠাকরে এবং উদ্ধব ঠাকরে যৌথভাবে সভা করার সিদ্ধান্ত নেন। সেই মতো আজ শনিবার মুম্বইয়ের ওরলিতে এই সভা হয়। আর সেই সভা থেকেই বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন রাজ এবং উদ্ধব ঠাকরে। একই সঙ্গে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীশকেও টার্গেট করেন।
জাজবাত বাংলায় আরও পড়ুন
উদ্ধব ঠাকরে এদিন বলেন, ‘ফড়নবীশ আপনি ভাষা নিয়ে কোনও গুন্ডাগিরি সহ্য করবেন না। রাজ্যের বাইরে মারাঠি ভাষা চালুর জন্য লড়াই করেছে, এমন কোনও মারাঠাকে দেখাতে পারবেন না’। এরপরেই বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ করে ঠাকরের দাবি, যেভাবে ফড়ণবীশ সরকার মহারাষ্ট্রে চাপিয়ে দিচ্ছেন তা বাংলা কিংবা তামিলনাড়ুতে করে দেখান। তবে কোনও ভাষার বিপক্ষে নই দাবি করে উদ্ধব বলে, ‘কেউ জোর করলে আমরাও পালটা ক্ষমতা দেখাব’।
এর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন হিন্দি ভাষা চাপিয়ে দেওয়ার বিরোধীতা করেছিলেন। মমতা বলেছিলেন, প্রত্যেক রাজ্যের ভাষা তাদের নিজস্ব ঐতিহ্য। বিজেপি কোনও রাজ্যের ভাগ্য নির্ধারণ করতে পারে না। কেন তামিলনাড়ুকে বিজেপি হিন্দি শিখতে বলবে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।
অন্যদিকে ‘ঠাকরে ব্রাদার্স’কে এদিন পালটা বার্তা দিয়েছেন দেবেন্দ্র ফড়ণবীশ। বলেন, ‘মনে হচ্ছে আমি বালাসাহেব ঠাকরের আশীর্বাদ পাচ্ছি। বলা হয়েছিল যে এটি ‘বিজয়’ সমাবেশ হবে, কিন্তু সেখানে সাধারণ বক্তব্য রাখা হয়েছে’। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, মারাঠির কোনও কথা সেখানে ছিল না, শুধু রাজনৈতিক আক্রমণ ছিল। ফড়ণবীশের কথায়, এটি মারাঠি বিজয় নয়, সাধারণ রাজনৈতিক সভা’।