কুখ্যাত গ্যাংস্টারের স্ত্রীয়ের সঙ্গে গোপনে প্রেম। পরে বেড়াতে নিয়ে গিয়ে তাঁকে খুনের অভিযোগ। দলেরই সদস্যকে হন্যে হয়ে খুঁজছে গুন্ডারা। দেখতে পেলেই তাঁকে খুন করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন সর্দার। মহারাষ্ট্রের নাগপুর শহরজুড়ে ‘গদ্দারের’ খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে কুখ্যাত ইপ্পা গ্যাং। খবর পেয়ে ঘুম উড়েছে পুলিশেরও। যেখানে সেখানে যখন তখন বড় হামলা ঘটে যেতে পারে। তাই দফায় দফায় টহলদারি ও নজরদারিতে ব্যস্ত নাগপুর পুলিশ।
নাগপুরে নানা সমাজবিরোধী কাজে লিপ্ত কুখ্যাত গ্যাংস্টার দল ইপ্পা গ্যাং। সেই গ্যাংয়েরই সর্দারের স্ত্রীয়ের সঙ্গে গোপনে চুটিয়ে প্রেম করতেন আরশাদ টোপী নামে দলেরই এক গুন্ডা। গত বৃহস্পতিবার যুবতীকে বাইকের পিছনে বসিয়ে ঘুরতে বেরিয়েছিল সে। কিন্তু পথিমধ্যে ঘটে দুর্ঘটনা। নাগপুর পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারা জানান, আরশাদের বাইকে এসে একটি জেসিবি ধাক্কা মারে। অল্পবিস্তর আঘাত পান আরশাদ। কিন্তু গুরুতর আহত হন বাইকের পেছনে থাকা ওই যুবতী।
জাজবাত বাংলায় আরও পড়ুন
দুর্ঘটনাস্থলের কাছেই রয়েছে কোরাডি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। সেখান থেকে একটি প্যাট্রোলিং ভ্যান এসে ওই যুবতীকে স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেই হাসপাতাল ফিরিয়ে দিলে কাম্পটিতে আরেক হাসপাতালে প্রেমিকাকে নিয়ে যান আরশাদ। সেখানেও তাঁকে ভর্তি নিতে অস্বীকার করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এরপর একটি অ্যাম্বুল্যান্স ভাড়া করে প্রেমিকাকে নিয়ে নাগপুর সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যান আরশাদ। শুক্রবার সকালে সেখানেই মৃত্যু হয় যুবতীর। হাসপাতালে সিসিটিভি ফুটেজে আরশাদ ও ওই যুবতীকে দেখা গিয়েছে।
এ দিকে গ্যাংস্টারের স্ত্রীয়ের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই টোপীকে গদ্দার ঘোষণা করে দল থেকে তাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই যুবতীকে নিয়ে গিয়ে খুন করা হয়েছে বলে দাবি ইপ্পা গ্যাংয়ের। শহরজুড়ে ওই গ্যাংয়ের প্রায় ৪০ জন সদস্য তল্লাশি চালাচ্ছে আরশাদের খোঁজে। এদিকে প্রাণভয়ে পারডিতে ডিসিপির দ্বারস্থ হয়েছেন আরশাদ। কোরাডি থানায় আরশাদকে বয়ান রেকর্ড করতে পাঠান ডিসিপি। যদিও পুলিশের দাবি, দুর্ঘটনাতেই মৃত্যু হয়েছে যুবতীর। খুনের কোনও প্রমাণ এখনও পর্যন্ত মেলেনি। এদিকে, ভয়ে গা ঢাকা দিয়েছেন আরশাদ টোপী।