খাবার নষ্ট করাটা খারাপ অভ্যেস হিসেবেই ধরা হয়। ছোটবেলা থেকেই আমাদের শেখানো হয় খাবার অপচয় করাটা বাজে অভ্যেস। কিন্তু বাড়িতে সবসময় তো মেপে-হিসেবে করে রান্না করা সম্ভব নয়। খাবার বেশি-কম হওয়াটা স্বাভাবিক। আর খাবার বেশি হয়ে বেঁচে গেলে আমরা চেষ্টা করি তা বাসি অবস্থায় অর্থাৎ পরের দিন হলেও খেয়ে নেওয়ার। যাতে অপচয় না হয়। আর এখানেই বিপদ ঘন্টা বাজতে দেখছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। বেশ কিছু খাবার বাসি অবস্থায় খেলে তেমন ক্ষতির সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। অন্যদিকে বেশ কিছু খাবার যেমন বাসি রুটি শরীরে পক্ষে উপকারী কিন্তু বাসি ভাত খাওয়া শরীরে জন্য একদমই ভালো নয়।
জাজবাত বাংলায় আরও পড়ুন
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাসি ভাত শরীরের জন্য একদম ভালো না বিশেষ করে তা যদি ভালো করে রাখা না হয়। আসলে চালে বেসিলস সেরেস(Bacillus cereus) নামে এক ধরণের ব্যাকটেরিয়া পাওয়া যায়। যা ফুড পয়জয়নিংয়ের কারণ হতে পারে। এতে উপস্থিত গরম প্রতিরোধক ব্যাকটেরিয়া আপনার পেটের মারাত্মক ক্ষতিও করতে পারে।
রান্না হওয়ার পর ভাতকে ঘরের সাধারণ তাপমাত্রায় অনেক ক্ষণ রেখে দিলে তাতে বেসিলস সেরেস ব্যাক্টেরিয়া দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পেতে থাকে। এই ব্যাকটেরিয়া আপনার শরীরে টক্সিন উৎপন্ন করে। যার ফলে আপনার ফুড পয়জয়নিং, পেটে ব্যথা, বমি, ডায়রিয়ার মত নানান সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।
আরও পড়ুন
এরপর আপনি ভাবতেই পারেন তাহলে বেঁচে যাওয়া ভাত আবার গরম করে খেলেই সমস্যার সমাধান। তাহলে জানাই আপনার ভাবনা একদম ভুল। ভাত দ্বিতীয়বার গরম করলেও সমস্যা থেকেই যায়। সব থেকে বড় সমস্যা হল ভাতকে যদি ঠিকঠাক রাখা না হয়। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, রান্না হওয়ার পর ভাত ঘরে ৪০-১৪০ ডিগ্রি ফারেনহাইট টেম্পরেচারের নীচে রেফ্রিজারেটের রাখা উচিত। আবার অন্যদিকে ফ্রিজের ভেতর রাখা ভাত ২৪ ঘন্টার মধ্যে খেয়ে নেওয়া উচিত। যদি কোনো কারণে ২৪ ঘন্টার ভেতরে বাসি ভাত না খেয়ে উঠতে পারেন তাহলে তা ফেলে দেওয়াই উচিত।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিজের স্বাস্থ্যের খেয়াল আপনাকেই রাখতে হবে। তারজন্য বিশেষ নজর দিতে হবে খাবারের দিকে। স্বাস্থ্যকর খাবারেই লুকিয়ে সু-স্বাস্থ্যের চাবিকাঠি।