পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার রাজুয়া গ্রামে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় কড়া অ্যাকশনে পুলিশ। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে কাটোয়া থানার পুলিশ। রবিবার এমনটাই জানালেন জেলা পুলিশ সুপার সায়ক দাস। পুলিশের দাবি, ধৃতদের মধ্যে রয়েছে ঘটনার মূল চক্রী। তাছাড়া যে বাড়িতে বোমা বাঁধা হচ্ছিল, সেই বাড়ির দুই মালিককেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রাজুয়া গ্রামের চার বাসিন্দাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে আর কেউ যুক্ত রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর,শুক্রবার রাতে কাটোয়ার রাজুয়া গ্রামের একটি বাড়িতে বোমা তৈরির সময় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। সেই বিস্ফোরণে এক জনের মৃত্যু হয় ও তিনজন জখম হন। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ বোমা তৈরির
মাস্টার মাইন্ড তুফান চৌধুরীকে প্রথমেই গ্রেফতার করে। জখমদের মধ্যে অন্যতম ছিল এই তুফান। তাকে জ্ঞিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে ও ফোন কল ডিটেইলস খতিয়ে দেখে পুলিশ নিশ্চিত হয়, বোমা তৈরি চক্রের ‘লিঙ্ক ম্যান’ অর্থাৎ তুফানের সহযোগী
হিসেবে কাজ করেছে কেতুগ্রামের জামির শেখ
এরপর জামির গ্রেফতার হতেই তার সঙ্গে বালি ব্যবসা যোগ সামনে আসে।
বিভিন্ন সূত্র মারফত খোঁজ খবর চালিয়ে পুলিশ জানতে পারে, যে বাড়িতে বসে লুকিয়ে বোমা বাঁধা হচ্ছিল, তাতে মদত ছিল বাড়ির মালিকেরও। এরপর বাড়ির মালিক আবু তাহের ওরফে হাসু এবং অনুপ কায়িম সেখ ওরফে পিনুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এছাড়াও বোমা তৈরির স্থান পাহারা
দেওয়ার দায়িত্বে থাকা স্থানীয় বাসিন্দা নজরুল মোল্লা এবং জোমেইদ সেখকেও পুলিশ গ্রেফতার করেছে।শনিবার রাতভর তল্লাশি চালিয়ে বাকি পাঁচজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
রাজুয়া গ্রামে বোমা বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় বরকত শেখ নামে একজনের মৃত্যু হয়। এপ্রসঙ্গে পুলিশ জানায়, বীরভূমের নানুর থানার শিয়ালা গ্রামের বাসিন্দা বরকত। জামিরই বোমা তৈরির জন্য বরকতকে রাজুর গ্রামে ডাকিয়ে এনেছিল বলে দাবি পুলিশের। বোমা তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত বিস্ফোরক পদার্থ জামির জোগাড় করেছিল।
তুফান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় তাকে রবিবার আদালতে পেশ করা যায়নি। বাকি পাঁচ ধৃতকে পুলিশ এদিন
কাটোয়া মহকুমা আদালতে পেশ করে। তাদের মধ্যে জামির শেখকে বিচারক ৫ দিনের পুলিশি হেফাজত আর বাকিদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।