সোমবার সস্ত্রীক উইম্বলডনের সেন্টার কোর্টে হাজির ছিলেন বিরাট কোহলি। দর্শকাসনে বসে ৩৮ বছর বয়সী নোভাক জোকোভিচের খেলা উপভোগ করেছেন ৩৬ বছরের টেস্ট থেকে অবসর নেওয়া বিরাট। যা নিয়ে একপ্রস্থ ঝড়ও বয়ে গিয়েছে সমাজ মাধ্যমে। ৩৬ বছর বয়সে টেস্ট থেকে অবসর নেওয়া কোহলি কী করে বসে বসে তাঁর থেকে বছর দুয়েকের বড় তারকার খেলা দেখতে পারেন! সেই প্রশ্নই তুলেছেন কোহলিভক্ত নেটাগরিকরা। এ দিকে এরই মধ্যে ভারতের প্রাক্তন টেনিস তারকা বিজয় অমৃতরাজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিরাটের এমন এক চাঞ্চল্যকর মন্তব্য সামনে এল যা নতুন করে আন্দোলন তুলে দিয়েছে ক্রিকেট দুনিয়ায়।
ইংল্যান্ড সফরের আগেই টেস্ট থেকে অবসর নিয়েছেন কিং কোহলি। তবে এখন তিনি পরিবার নিয়ে পাকাপাকিভাবে বিলেতেই বাস করছেন। সেই সুবাদে সোমবার উইম্বলডনে নোভাক জোকোভিচ বনাম অ্যালেক্স দিমিনিউর ম্যাচ দেখতে গিয়েছিলেন তিনি। ম্যাচ শেষে বিজয় অমৃতরাজ তাঁকে প্রশ্ন করেন, উইম্বলডনে খেলা আর লর্ডসের মত স্টেডিয়ামে খেলার মধ্যে কোনও ফারাক আছে?” বিরাট জবাব দেন, “চাপ দুই জায়গাতেই থাকে। যেহেতু প্রচুর মানুষ খেলা দেখতে আসেন। তবে সেন্টার কোর্টে খেলা অনেক বেশি কঠিন।”
এতেই শেষ নয়। কোহলি এও জানিয়েছেন যে উইম্বলডনের যে কোনও ম্যাচের উত্তেজনা ভারত-পাক ক্রিকেট ম্যাচ বা বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল এবং ফাইনালের মতই রুদ্ধশ্বাস হয়। নিজের বক্তব্যের সপক্ষে তাঁর ব্যখ্যা, “সেন্টার কোর্টে খেলা এই কারণেই কঠিন, সমস্ত দর্শক আপনার খুব কাছেই বসে থাকেন। ফলে তাঁরা কে কী সমালোচনা করছেন বা কেউ ব্যঙ্গ করলে তার সবটাই আপনার কানে আসে। এই কারণেই আমি টেনিস খেলোয়াড়দের এত সম্মান করি। তাঁদের মানসিকতা এবং ফিটনেস অসাধারণ।” কোহলির এই বক্তব্যের পর খুব স্বাভাবিকভাবেই চর্চা শুরু হয়েছে নেট পাড়ায়।
এর আগে একবার একটি সাক্ষাৎকারে বিরাট জানিয়েছিলেন, জীবনে প্রথমবার যখন কানায় কানায় পরিপূর্ণ স্টেডিয়ামে আইপিএলের ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন তখন কতটা চাপে ছিলেন তিনি। তবে এ বার সেই চাপের থেকেও বেশি চাপ টেনিস কোর্টে থাকে বলে দাবি করলেন। টেস্ট থেকে তড়িঘড়ি অবসর নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়া তাঁর মুখে এই কথা মানায় কি না হয়ত সে চর্চাই শুরু হলে বলে।