শেখ হাসিনা ইস্যুতে ফের একবার ভারতকে বার্তা ইউনূস সরকারের। প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, ‘মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত একজন ব্যক্তিকে আর রক্ষা করার সুযোগ ভারতের নেই’। অর্থাৎ ফের একবার মুজিব কন্যাকে বাংলাদেশের হাতে তুলে দেওয়ার আবেদন বাংলাদেশের। প্রায় একবছর হতে চলল ভারতে নিরাপত্তার ঘেরাটোপে রয়েছেন তিনি। একাধিকবার হাসিনাকে ঢাকার হাতে তুলে দেওয়ার আবেদন জানানো হলেও কার্যত তাতে কর্ণপাত করেনি নয়াদিল্লি।
এর মধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে বিবিসির একটি রিপোর্ট। যেখানে একটি অডিও’য়ের কথা তুলে ধরে ওই সংবাদমাধ্যমের দাবি, আন্দোলনের সময় প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। ওই অডিও কলে এক নিরাপত্তা আধিকারিককে এহেন নির্দেশ দিতে শোনা যায়। আর এই খবর সামনে আসতেই তোলপাড় বাংলাদেশ। এর মধ্যেই ফের একবার হাসিনাকে প্রত্যর্পণের দাবিতে সরব হল ঢাকা।
জাজবাত বাংলায় আরও পড়ুন
বিশেষ করে আগামীকাল বৃহস্পতিবার তাঁর বিরুদ্ধে চার্জ হওয়ার কথা আছে। তার আগেই মহম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত একজন ব্যক্তিকে আর রক্ষা করার সুযোগ ভারতের নেই’। শুধু তাই নয়, বিবেক ও নৈতিক স্বচ্ছতা নিয়ে ভারত যাতে কাজ করে সেই বার্তাও দেন শফিকুলসাহেব। আজ বুধবার ঢাকার তরফে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। সেখানে শফিকুল আলম বলেন, ‘আমরা এখন ভারতের প্রতি আহ্বান জানাই, তারা যেন বিবেক ও নৈতিক স্পষ্টতা নিয়ে কাজ করে। দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ সরকার শেখ হাসিনার প্রত্যার্পণের যে আইনগত অনুরোধ জানিয়ে আসছে, তা মেনে নিতে ভারত অস্বীকার করেছে।’
আরও পড়ুন
তবে এই অবস্থা আর গ্রহণযোগ্য নয় বলেও দাবি মহম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব। তাঁর কথায়, ‘আঞ্চলিক বন্ধুত্ব, কৌশলগত হিসাব কিংবা কোনও রাজনৈতিক উত্তরাধিকার—কোনো কিছুই বেসামরিক নাগরিকদের পরিকল্পিত হত্যার অজুহাত হতে পারে না।’ এই বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে বিবিসির প্রতিবেদনের কথাও উল্লেখ করেন। শফিকুলসাহেবের কথায়, বিবিসির ইনভেস্টিগেশন ইউনিট প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হত্যাকাণ্ডে সরাসরি যুক্ত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। সাধারণ মানুষ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ তুলেছে।
আর তা তুলে ধরে ইউনূস সরকারের দাবি, ‘বাংলাদেশ ও ভারতের দীর্ঘদিনের বন্ধু। আমরা চাই, ভারত এই মুহূর্তের গুরুত্ব অনুধাবন করুক এবং ন্যায়বিচার, আইনের শাসন ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতি সম্মান দেখাক।