ফের আলোচনায় অভিনেতা পায়েল রোহাতগি ও সংগ্রাম সিংয়ের সম্পর্ক। গুঞ্জন বলছে, খুব শীঘ্রই বিচ্ছেদের পথে হাঁটতে চলেছেন তাঁরা। কিছুদিন আগেই তাঁদের বিচ্ছেদ জল্পনা শোনা গিয়েছিল। ফের একবার সেই আগুনেই পড়ল ঘি। এবার কারণ, সংগ্রামের সমাজসেবী সংস্থার ডিরেক্টর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন পায়েল। নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলে সেই ইস্তফাপত্রের একটি ছবি পোস্ট করে তিনি লেখেন, ‘কখনও দূরত্বই শান্তির সমান’। ইস্তফাপত্রে কোন কারণে চাকরি ছাড়ার উল্লেখ করা হয়েছে?
পায়েল তাঁর ইস্তফাপত্রের একটি ছবি পোস্ট করেছেন, তাতে পরিষ্কার লেখা যে তিনি ‘সংগ্রাম সিং চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশন’-এর ডিরেক্টর পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন ‘উইথ ইমিডিয়েট এফেক্ট ডিউ টু পার্সোনাল রিজ়নস’। অর্থাৎ তাঁর ইস্তফার কারণ ব্যক্তিগত বলে উল্লেখ করা হয়েছে। একইসঙ্গে তিনি বোর্ডকে তাঁর ইস্তফাপত্র গ্রহণ করতে এবং সংস্থার সাফল্য কামনা করেছেন। সংস্থার কাছে কৃতজ্ঞতাও স্বীকার করেছেন।
জাজবাত বাংলায় আরও পড়ুন
এই পোস্টের ইঙ্গিতপূর্ণ ক্যাপশনে তিনি লেখেন, ‘কখনও কখনও শান্তির রূপ দূরত্বের মতো হয়’। এই পোস্টেই জল্পনা তুঙ্গে। সুখের সংসারে তাহলে আগুন লাগল? যদিও বিচ্ছেদের ব্যাপারে পায়েল বা সংগ্রাম, কেউই আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানাননি।
প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের ডিসেম্বর নাগাদ পায়েল ও সংগ্রামের একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয় যেখানে তাঁদের প্রবল ঝগড়া করতে দেখা যায়। সেই ভিডিয়োয় সংগ্রামের বিরুদ্ধে পায়েলকে গুরুতর অভিযোগ করতে দেখা যায়। পায়েলের অভিযোগ তিনি সন্তান ধারণ করতে পারেননি বলে সংগ্রাম তাঁর সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। এখানেই শেষ নয়, সংগ্রামের পরিবারের বিরুদ্ধেও অভিযোগ করেন পায়েল। তাঁর কথায় সংগ্রামের বাড়ির লোক মহিলাদের বিষয়ে এখনও পুরনো ধ্যানধারণা নিয়ে বসে আছেন, তাঁরা মনে করেন মেয়েরা রান্নাবান্না, সন্তান ধারণ ও ঘোমটার আড়ালে বসে থাকারই যোগ্য।
আরও পড়ুন
তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘তোমাদের বাড়িতে মহিলাদের সঙ্গে এভাবে কথা বলা হয়? তোমরা পড়াশোনা জানা নও, সেটা ঠিক আছে তাই বলে এভাবে কথা বলবে?’ ২০২২ সালের ৯ জুলাই পায়েল ও সংগ্রামের বিয়ে হয় একেবারে ঘনিষ্ঠ মানুষদের উপস্থিতিতে। আগ্রায় একটি ব্যক্তিগত অনুষ্ঠান হয়। এর আগে তাঁদের প্রেমের সম্পর্ক ছিল দীর্ঘদিনের। দৃঢ় বন্ধন, একে অপরের প্রতি তাঁদের সম্মান – এই নিয়েই প্রায়ই তাঁদের কথা বলতে শোনা যেত। কিন্তু সাম্প্রতিক জল্পনা বলছে তাঁদের সম্পর্কে বড় চিড় ধরেছে।