বুধবার সকালে উত্তরপাড়া কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক তাঁর শাশুড়িকে চিকিৎসা করাতে নিয়ে যান স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিনে। হাসপাতালের আউটডোরে প্রবল ভিড় থাকায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে অপেক্ষা করতে বলেন। অভিযোগ, এরপরেই বিধায়ক মেজাজ হারান এবং চিকিৎসককে বদলির হুমকি দেন। ঘটনাস্থলে থাকা একাধিক রোগী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, আচরণ ছিল রীতিমতো ‘দাদাগিরি’র মতো।
ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টরস ফোরাম এই ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। সংগঠনের পক্ষ থেকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে বিধায়কের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপের দাবি তোলা হয়েছে। সংগঠনের মতে, একজন জনপ্রতিনিধির কাছ থেকে এই ধরনের আচরণ চিকিৎসক সমাজের পেশাগত নিরাপত্তার পরিপন্থী।
জাজবাত বাংলায় আরও পড়ুন
বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক মহলেও তীব্র প্রতিক্রিয়া ছড়িয়েছে। বিজেপি নেতা সজল ঘোষ কটাক্ষ করে বলেন, “ভাঁড়ও আজ মস্তানি করছে! এটাই পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক বাস্তবতা।” তাঁর অভিযোগ, ক্ষমতা পেয়ে অনেকেই নিজেদের ঊর্ধ্বে ভাবতে শুরু করেন।
তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ ঘটনার সমালোচনা করে বলেন, “যেই হন না কেন, চিকিৎসকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার অনুচিত। বিষয়টি অনভিপ্রেত।” অন্যদিকে, সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক। তাঁর দাবি, “কোনও হুমকি দিইনি, ধাক্কাধাকিও করিনি। আমার স্ত্রীকে উদ্দেশ করে চিৎকার করায় প্রতিবাদ জানিয়েছিলাম। প্রমাণ থাকলে সামনে আনা হোক।”
এই ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ে এখন সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখার দাবি উঠেছে। ঘটনাটি ঘিরে ফের একবার রাজ্যের রাজনৈতিক পরিবেশে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে।