উত্তরপ্রদেশের প্রত্যন্ত গ্রামে গ্রামে লোডশেডিংয়ের সমস্যা নতুন কিছু নয়। সরকারের দাবি, ১০০ শতাংশ বৈদ্যুতিকরণ নাকি হয়ে গিয়েছে। যদিও লোডশেডিং নিয়ে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে রাজ্যবাসীর। আর এবার জনসাধারণের প্রশ্নের মুখে পড়ে নতুন পন্থা অবলম্বন যোগী সরকারের মন্ত্রীর। জয় শ্রীরাম ধ্বনি উচ্চস্বরে আওড়ে জনতার প্রশ্নই এড়িয়ে গেলেন উত্তরপ্রদেশের বিদ্যুৎমন্ত্রী এ কে শর্মা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে সেই ভিডিও।
ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের সমস্যা নিয়ে জেরবার সাধারণ মানুষ। প্রতিবাদ প্রতিরোধ লেগেই রয়েছে। সরকারের বিরুদ্ধে প্রায় প্রতি সপ্তাহেই জনরোষ আছড়ে পড়ে পথে প্রান্তে। যোগী আদিত্যনাথের সরকারে বিদ্যুৎ দফতরের দুরবস্থা কার্যত প্রকাশ্যে চলে এসেছে। আর এরকম অবস্থায় আমজনতার প্রশ্ন এড়িয়ে গেলেন স্বয়ং বিদ্যুৎমন্ত্রী।
জাজবাত বাংলায় আরও পড়ুন
ঘটনা গত বুধবারের। জৌনপুর থেকে সুলতানপুরে যাচ্ছিল মন্ত্রীর কনভয়। যাওয়ার পথে সুরাপুর বলে একটি এলাকায় মন্ত্রীর গাড়ি আটকান বিক্ষুব্ধ জনতা। একদল ব্যবসায়ী মন্ত্রীর কাছে লোডশেডিংয়ের সমস্যা নিয়ে অভিযোগ জানান। বলেন, দিনে মাত্র তিন ঘন্টা বিদ্যুৎ পান তারা। স্থানীয় মহকুমাশাসক সময় নির্দিষ্ট করে দেওয়ার পরেও বিদ্যুৎ দফতর কেবল দুপুর ১২ টা থেকে তিনটে পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। মন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপিও জমা দেন অভিযোগকারীরা। যদিও অভিযোগে কর্ণপাত না করে বিদ্যুৎমন্ত্রী ‘জয় শ্রী রাম’ ধ্বনি দিতে থাকেন বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন
২০২১ সালে করোনা অতিমারির দ্বিতীয় ঢেউ চলাকালীন এলাহাবাদ হাইকোর্টের একটি রায়ে বলা হয়েছিল, “উত্তরপ্রদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা মনে হয় রামের ভরসায় চলছে।” সেই মন্তব্য টেনে নেটিজেনরা ব্যঙ্গ করে বলছেন, বিদ্যুৎমন্ত্রী মনে হয় আদালতের ওই মন্তব্যই বাস্তব ভেবে নিয়েছেন। আর তাই বিদ্যুতের সমস্যার অভিযোগ না শুনে ‘শ্রী রামের’ উপরেই আস্থা রাখলেন মন্ত্রী। ভাইরাল ওই ভিডিওর কমেন্টে নেটাগরিকদের দাবি, মনে হয় প্রভু রাম ও হনুমান এসে লোডশেডিংয়ের সমস্যা নিরসন করবেন।
