ব্যবসার অবস্থা এতই খারাপ যে মেয়ের জন্য ইনসুলিনটুকুও কেনার সামর্থ নেই বাবার। সেই হতাশা থেকে চরম সিদ্ধান্ত নিলেন উত্তরপ্রদেশের রাজধানী লখনউয়ের বাসিন্দা পেশায় ঠিকাদার এক ব্যক্তি। বাজারে কোটি কোটি টাকা ধার শোধ করতে না পেরে নিজের অফিসের নিরাপত্তারক্ষীর বন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে নিজেকে শেষ করলেন। তার আগে ফেসবুক লাইভে জানিয়ে গিয়েছেন নিজের আসহায়তার কথা।
জাজবাত বাংলায় আরও পড়ুন
মৃত্যুর ঠিক আগে ফেসবুক লাইভে ওই ব্যবসায়ীকে বলতে শোনা যায়, “আমার ব্যবসা ডুবে গেছে। আমি দেনায় সর্বস্বান্ত। অবস্থা এতটাই শোচনীয় যে, মেয়ের জন্য ইনসুলিন কেনার টাকাও নেই আমার কাছে।” কাঁদতে-কাঁদতে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথ, প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং শহরের বড় ব্যবসায়ীদের কাছে সাহায্যের প্রার্থনা করে বলেছেন, “এখন আমার কাছে আত্মহত্যা ছাড়া কোনও উপায় নেই।” এর পর অফিসেরই নিরাপত্তাকর্মীর বন্দুক দিয়ে নিজেকে গুলি করেন।
আরও পড়ুন
জানা গিয়েছে, কোটি-কোটি টাকার দেনায় ডুবে ছিলেন ওই ব্যবসায়ী। এই কারণে গত আড়াই বছর ধরে তিনি মানসিক চাপে ছিলেন। ফেসবুক লাইভে সে কথাও জানিয়েছেন। ফেসবুক লাইভ দেখে বাড়ির লোকেরা পুলিশে যোগাযোগ করেন। কিন্তু তত ক্ষণে সব শেষ। স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। ঘটনা প্রসঙ্গে লখনউ পুলিশের এডিসিপি পঙ্কজ সিংহ জানিয়েছেন, ব্যবসা ডুবে যাওয়া এবং বাজারে প্রচুর দেনা হয়ে যাওয়ায় এক রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী নিজেকে গুলি করে আত্মহত্যা করেছেন। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানতে পেরেছে, আর্থিক অনটনের কারণেই তিনি এই পথ বেছে নিয়েছেন