ধৈর্যের সুফল পেলেন কে এল রাহুল। লর্ডস টেস্টের তৃতীয় দিন কেরিয়ারের দশম শতরান পূর্ণ করলেন তিনি। বিদেশের মাটিতে এটি তাঁর নবম শতরান। লর্ডসের ঐতিহাসিক মাঠে দ্বিতীয়। দিলীপ বেঙ্গসরকারের পর তিনিই দ্বিতীয় ভারতীয় ব্যাটার যিনি হোম অব ক্রিকেটে একের অধিক সেঞ্চুরির নজির গড়লেন। যদিও বেশিক্ষণ নিজের ধৈর্য ধরে রাখতে পারেননি ভারতীয় ওপেনার। ১০০ রানেই স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফিরতে হল তাঁকে।
যদিও রাহুলের আগেই ধৈর্যচ্যুতি ঘটে তাঁর গত রাতের সঙ্গী ঋষভ পন্থেরও। লাঞ্চের ঠিক আগে তাড়াহুড়ো করে সিঙ্গেল নিতে গিয়ে বোকার মত রান আউট হন পন্থ। তাঁর সামনেও সুযোগ ছিল ক্রিকেটের মক্কায় তিন অঙ্ক ছুঁয়ে অনার্স বোর্ডে লেখানোর। কিন্তু ব্যক্তিগত ৭৪ রানের মাথায় বোকামির খেসারত দেন তিনি। সব মিলিয়ে মধ্যাহ্নভোজের বিরতির ঠিক আগে এবং পরে পর পর দুই উইকেট হারিয়ে একটু চাপে টিম ইন্ডিয়া।
জাজবাত বাংলায় আরও পড়ুন
এদিন দ্বিতীয় সেশনের শুরুতেই সেঞ্চুরিতে পৌঁছন কে এল রাহুল। চলতি সিরিজে এটি তাঁর দ্বিতীয় শতরান। যা পূর্ণ করতে নিয়েছেন ১৭৬ বল। গোটা ইনিংস ধরেই অসাধারণ ধৈর্য দেখিয়েছেন টিম ইন্ডিয়ার কন্নর ওপেনার। কিন্তু শতরান করতেই সেই ধৈর্যে কিছুটা চুতি। আর তাতেই দিতে হল খেসারত। শোয়েব বশিরের বল কে এলের ব্যাটের কিনারায় লেগে চলে যায় স্লিপে। যা তালুবন্দি করতে কোনও ভুল হয়নি সেখানে দাঁড়ানো হ্যারি ব্রুকের। দলীয় ২৫৪ রানের মাথায় পঞ্চম ব্যাটার হিসেবে আউট হন রাহুল।
জাজবাত বাংলায় আরও পড়ুন
প্রথম ইনিংসে ইংরেজদের সংগ্রহ ৩৮৭। এই অবস্থায় ভারতের প্রয়োজন ছিল একটি বড় জুটির। যা গড়তে সক্ষমও হন কে এল রাহুল এবং ঋষভ পন্থ। চতুর্থ উইকেটে ১৪১ রান যোগ করেন দুজনে। কিন্তু তারপরই ছন্দ পতন। ধৈর্য ধরে রাখতে না পারার কারণেই ফিরে গেলেন দুই মহারথী। ফলে ক্রিকেটের মক্কায় বেশ চাপেই পড়ে গেল শুভমন গিলের ভারত।