মধ্যপ্রদেশের কুনো ন্যাশনাল পার্কে চিতাবাঘের মৃত্যু। নামিবিয়া থেকে আনা হয়েছিল স্ত্রী চিতা নভাকে। গত এক সপ্তাহ ধরে চিকিৎসাধীন থাকার পর শনিবার মৃত্যু হয়েছে আট বছরের ওই চিতার। খাঁচা থেকে শিকার করার সময় মারাত্মক আঘাত পেয়েছিল চিতাটি। অবশেষে মৃত্যু হয় তার। এই নিয়ে গত তিন চার বছরে কুনো জাতীয় উদ্যানে একাধিক চিতাবাঘের মৃত্যুর ঘটনা সামনে এল। যার জেরে প্রশ্ন উঠছে কেন্দ্রের চিতা পুনর্বাসন প্রকল্প নিয়েই।
ওই প্রকল্পের ফিল্ড ডিরেক্টর উত্তম শর্মা এদিন সংবাদমাধ্যমে জানান, “এক সপ্তাহ আগে গুরুতর চোট পেয়েছিল নভা। বাঁদিকের অংশে উলনা ও ফিবুলা বাজেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এছাড়াও অন্যান্য আঘাত ছিল। এক সপ্তাহ ধরে চিকিৎসা সত্ত্বেও যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে মারা যায় চিতাবাঘটি।” ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে নামিবিয়া থেকে ভারতে আনা হয়েছিল স্ত্রী চিতাবাঘ নভাকে। ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে তার দেহ।
জাজবাত বাংলায় আরও পড়ুন
২০২২ সালে নামিবিয়া থেকে প্রথম দফায় ও ২০২৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে দ্বিতীয় দফায় বেশকয়েকটি চিতাবাঘ আনা হয় মধ্যপ্রদেশের কুনো জাতীয় উদ্যানে। তবে নভার মৃত্যুর পরে কুনোতে মোট চিতাবাঘের সংখ্যা এসে ঠেকল ২৬-এ। তাদের মধ্যে মাত্র ৯টি চিতাবাঘ প্রাপ্তবয়স্ক। ছ’টি স্ত্রী চিতাবাঘ ও তিনটি পুরুষ চিতা রয়েছে। বাকিদের ১৭টি চিতাশাবক ভারতেই জন্ম নিয়েছে।
উত্তম শর্মা আরও জানান, “চিতারা সকলেই নতুন পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছে। তারা সকলেই নিয়মিত শিকারও করছে।” সমস্ত চিতাবাঘের সম্প্রতি অ্যান্টি-প্যারাসাইট ট্রিটমেন্টও সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে বলে জানান তিনি। ভীরা ও নির্ভা নামে দুটি স্ত্রী চিতা সম্প্রতি সুস্থ শাবকের জন্ম দিয়েছে। তবে এসবের মাঝে নভার মৃত্যু প্রশ্ন তুলে দিয়েছে প্রকল্প নিয়ে। সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের অভাব নিয়ে প্রশ্নের মুখে মধ্যপ্রদেশের বন দফতরও।