আইএসএল হবে কি না বা হলেও কবে হবে তা এখনও নিশ্চিত নয়। কিন্তু তার তোয়াক্কা না করে নতুন মরশুমের জন্য দল গোছাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে সব শিবিরই। এই সময়ে একই দিনে জোড়া চমক দিল ইস্টবেঙ্গল। রবিবার তারা দলে শামিল করল দুই তারকা ফুটবলার এডমুন্ড লালরিনডিকা এবং বিপিন সিংকে। এডমুন্ডকে ৩ বছরের এবং বিপিনকে সঙ্গে ২ বছরের চুক্তিতে স্বাক্ষর করানো হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
গত বছর ইন্টার কাশীর হয়ে খেলা এডমুন্ড লালরিনডিকা অবশ্য এর আগেও লাল-হলুদ জার্সি গায়ে চাপিয়েছেন। বছর ছয়েক আগে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে দুটি ম্যাচ খেলার সুযোগ পান জাতীয় দলের এই স্ট্রাইকার। যার মধ্যে একটি ছিল ডার্বি। সেই ম্যাচে একটি অ্যাসিস্টও ছিল। সেই ডিকা আবার ফিরলেন পুরনো ক্লাবে। উল্লেখ্য, গত মরশুমে ইন্টার কাশীর হয়ে আই লিগ এবং সুপার তাঁর দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের তাঁর। যা দেখে ভারতের সদ্য প্রাক্তন কোচ মানালো মার্কেজ এতটাই আকৃষ্ট হন যে প্রথম ডিভিশনে না খেলা সত্ত্বেও জাতীয় দলে সুযোগ পেয়ে যান ডিকা।
আই লিগে মোট ২৪ টি গোল করেছেন এডমুন্ড লালরিনডিকা। পুরনো শিবিরে ফিরতে পেরে তিনি স্বভাবতই খুশি। জানান, “ইস্টবেঙ্গলে ফেরাটা আমার স্বপ্ন ছিল। এ বার নিজেকে উজাড় করে দিয়ে খেলতে চাই। গোল করতে চাই। ট্রফি জিততে চাই।” অন্যদিকে ৩০ বছরের উইঙ্গার বিপিন সিংকে দলে ভেড়ানো প্রসঙ্গে লাল হলুদ ব্রিগেডের হেড অব ফুটবল থাংবোই সিংটের বক্তব্য, “বিপিন বহুমুখী সেই সঙ্গে অভিজ্ঞ ফুটবলার। দলে ওঁর উপস্থিতি জয়ের মানসিকতা ফিরিয়ে আনবে। ওঁর প্রতিভা দলের জন্য এক অমূল্য সম্পদ হতে চলেছে।”
বিপিন সিং ছিলেন মুম্বই সিটি এফসিতে। মুম্বইয়ের হয়ে সাত মরশুমে তার সংগ্রহ মোট ২৮ টি গোল। তিনি যে ইস্টবেঙ্গল কোচ অস্কার ব্রুঁজোর পছন্দের তালিকায় ছিলেন, তা শোনা যাচ্ছিল অনেকদিন ধরেই। ব্রুঁজোর কথায়, “বিপিনের আন্তর্জাতিক মঞ্চে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। আমাদের আক্রমণ ভাগে শক্তি আরও বাড়ল। গোল করা নিয়ে যে সমস্যা দেখা দিয়েছিল গত মরশুমে, বিপিন আসায় আশা করি সেগুলি দূর হবে।” সব মিলিয়ে একই দিনে জোড়া তারকাকে দলে ভিড়িয়ে নতুন আশায় বুক বাঁধছে ইস্টবেঙ্গল।