বেড়ানো প্রিয় বাঙালিদের জন্য একটা বিশেষ খবর দিই। বেড়াতে যেতে মন উড়ু-উড়ু কিন্তু পকেট সায় দিচ্ছে না। আরে বাবা বেড়াতে যাওয়া মানে তো শুধু যাতায়াতের খরচ নয়, তার সঙ্গে রয়েছে সেখানে থাকা-খাওয়ার খরচ। বেড়াতে গেলে সব থেকে বেশি খরচ তো হোটেলে থাকতেই হয়। বেশ কিছু মরশুমে তো হোটেলগুলো ইচ্ছেমত দর হাঁকে।
তারওপর বাঙালি মানেই তো একটু খাদ্যরসিক। বেড়াতে গেছি বলে তো আর মুখে কুলুপ এঁটে থাকা যায় না? এই খরচের কথা ভেবেই বেড়ানোর ইচ্ছে স্থগিত করতে হয়ে অনেককে। এবার তাহলে এই সমস্যার সমাধান। ব্যাগপত্তর গুছিয়ে বেরিয়ে পড়ুন। আজ এমন কিছু পর্যটনস্থলের হদিশ দেব যেখানে থাকা-খাবার জন্য আপনাকে কোনো খরচ করতে হবে না।
জাজবাত বাংলায় আরও পড়ুন
একদম ঠিক শুনেছেন। বেড়াতে গিয়ে শুধু মজা আর মজা, খরচের নো টেনশন। আমাদের ভারতেই রয়েছে এমন সুন্দর মনোরম পর্যটনস্থল যেখানে বেড়াতে গিয়ে থাকা-খাওয়ার চিন্তা করতে হয় না। আপনি জেনে অবাক হবেন উত্তর থেকে দক্ষিণ এমন বহু পর্যটনস্থল রয়েছে যেখানে আপনি বিনামূল্যে থাকা-খাওয়ার সুব্যবস্থা পেতে পারেন। এগুলি হল –
মনিকরণ সাহেব গুরুদ্বারা (হিমাচল প্রদেশ )
হিমাচল প্রদেশ বহু মানুষের কাছে ভীষণ প্রিয় ডেস্টিনেশন। হিমাচল প্রদেশের কাসোলে অবস্থিত মনিকরণ সাহেব গুরুদ্বারা এমন জায়গা যেখানে থাকতে গেলে আপনাকে কোনো খরচ করতে হবে না। আর রইল খাওয়ার চিন্তা তাও এখানকার লঙ্গরে বিনামূল্যে। সঙ্গে পার্কিং ফ্রি।
আনন্দাশ্রম (কেরল)
আপনি এই আশ্রমে ভলেন্টিয়ার হয়ে বিনা খরচে যতদিন খুশি থাকতে পারেন। আশ্রমে আপনার তিন বেলার খাওয়ার ঝামেলাও নেই। সব থেকে বড় কথা, কম মশলায় তৈরি এখানকার টেস্টি খাবার আপনার স্বাস্থ্যের জন্য একদম উপযুক্ত।
গীতা ভবন (ঋষিকেশ)
এমন কোন বাঙালি আছেন যিনি ঋষিকেশ যেতে চান না ? বাংলা ছাড়াও দিল্লির বাসিন্দাদের কাছেও ঋষিকেশ প্রিয় স্থল। এখানে বেড়াতে গিয়ে আপনি থাকতে পারেন গীতা ভবন আশ্রমে। যেখানে খাওয়া-থাকা একদম ফ্রি। আশ্রমে ১০০০টি ঘর আছে। যেখানে গোটা পৃথিবী থেকে পর্যটকরা এসে থাকার সুবিধা গ্রহণ করতে পারেন। সঙ্গে আশ্রমে রোজ হওয়া সৎসঙ্গ এবং যোগাভ্যেস উপরি পাওনা।
ইউটিউবেও জাজবাত, আপডেট থাকুন আমাদের সঙ্গে
ঈশা ফাউন্ডেসন (কোয়েম্বাটুর)
কোয়েম্বাটুর থেকে প্রায় ৪০ কিমি দূরে অবস্থিত ঈশা ফাউন্ডেসন সেন্টার প্রকৃতি এবং সামাজিক নানা অবদানে বিখ্যাত। আপনি এদের সাহায্যের বিনিময় এখানে যতদিন খুশি থাকতে পারেন।
গোবিন্দ ঘাট গুরুদ্বারা (চামিলি উত্তরাখন্ড)
গোবিন্দ ঘাট গুরুদ্বারা উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলার অলকানন্দা নদীর একদম কাছে তৈরী। এখানে পর্যটক, ট্রেকার্স এবং তীর্থযাত্রীরা বিনামূল্যে থাকতে পারেন। গুরুদ্বারা থেকে নৈসর্গিক দৃশ্য দেখার পর আপনার মন ভরে উঠবে।