রবিবার রাষ্ট্রপতি মনোনীত চার রাজ্যসভা সদস্যের নাম ঘোষণা করল রাষ্ট্রপতি ভবন। এদিন যে চার জন বিশিষ্ট নাগরিকের নাম রাইসিনা হিলস ঘোষণা করেছে তাঁরা হলেন, বিশিষ্ট আইনজীবী উজ্জ্বল নিকম, কেরলের সমাজকর্মী তথা শিক্ষাবিদ শ্রী সদানন্দন মাস্টার, প্রাক্তন বিদেশসচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা এবং ইতিহাসবিদ মীনাক্ষী জৈন। রাষ্ট্রপতির এই বাছাইয়ের পর গেরুয়া শিবিরের তরফে জানান হয়েছে, এই চার জনের মাধ্যমে সমাজের সর্ব স্তরকে ছোঁয়ার চেষ্টা হয়েছে। যদিও এই নামের তালিকা ঘোষিত হতেই বিরোধীদের অভিযোগ এই চারজনই হয় সরাসরি বিজেপির সঙ্গে যুক্ত, নয় গেরুয়া শিবির ঘনিষ্ঠ। তাই ঘুরপথে এই চারজনকে রাজ্যসভায় পাঠিয়ে বিজেপি এদের পুরস্কৃত করল।
মুম্বই হামলার চক্রী আজমল কাসভকে ফাঁসিতে ঝোলানোর কারিগর মনে করা হয় তাঁকে। পাশাপাশি ১৯৯৩ মুম্বইয়ে ধারাবাহিক বিস্ফোরণ, গুলশন কুমার হত্যা, প্রমোদ মহাজন হত্যার মতো গুরুত্বপূর্ণ মামলার আইনজীবী ছিলেন তিনি। এর পুরস্কার স্বরূপ ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে মুম্বই উত্তর-মধ্য কেন্দ্রে উজ্জ্বল নিকমকে প্রার্থী করে বিজেপি। তবে কংগ্রেস প্রার্থীর কাছে হেরে যান তিনি। এবার তাঁকে রাজ্যসভায় পাঠাচ্ছেন মোদি-শাহরা। পাশাপাশি নাম রয়েছে প্রাক্তন বিদেশ সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা, সমাজসেবী সি সদানন্দন মাস্টার এবং ইতিহাসবিদ মীনাক্ষী জৈনের। এঁরা সকলেই গেরুয়া শিবিরের ভীষণ কাছের লোক হিসেবেই পরিচিত।
জাজবাত বাংলায় আরও পড়ুন
নিয়ম অনুযায়ী, মোট ১২ জন সদস্যকে রাজ্যসভায় মনোনীত করতে পারেন রাষ্ট্রপতি। রবিবার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে রাষ্ট্রপতির মনোনীত সদস্যদের শূন্যস্থানে এই চারজনের নাম সংসদের উচ্চকক্ষের সদস্য হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। বাংলাদেশ বিশেষজ্ঞ হিসেবে সুপরিচিত হর্ষবর্ধন শ্রিংলা দীর্ঘ চার দশক ধরে ভারতের বিদেশনীতির গুরুদায়িত্ব সামলেছেন। বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব, প্রাক্তন বিদেশ সচিব তথা দেশের অন্যতম সফল কূটনীতিককে গত বছর দার্জিলিং থেকে লোকসভায় দাঁড় করানোর চিন্তাভাবনা করেন। যদিও শেষপর্যন্ত শ্রিংলা টিকিট পাননি। এবার রাষ্ট্রপতির মনোনীত সদস্য হিসাবে রাজ্যসভায় যাবেন তিনিও।
এর বাইরে সমাজসেবী, প্রবীণ সংঘকর্মী সি সদানন্দ মাস্টারকেও রাজ্যসভায় পাঠাচ্ছে সরকার। অভিযোগ কয়েক দশক আগে সিপিএম কর্মীদের হামলায় পা হারিয়েছিলেন তিনি। ২০১৬ সালে কেরলের বিধানসভা নির্বাচনে লড়ে তৃতীয় হন। রাজ্যসভায় যাচ্ছেন ইতিহাসবিদ মীনাক্ষী জৈনও। তিনিও পরিচিত গেরুয়া শিবির ঘনিষ্ঠ হিসাবে। এর আগে ২০২০ সালে তাঁকে পদ্মশ্রী দেওয়া হয়।