সম্প্রতি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সাধারণ মানুষকে কাশ্মীরে যেতে বারণ করেছিলেন নিরাপত্তার প্রসঙ্গ তুলে। তার প্রেক্ষিতে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় শুভেন্দুকে বেনজির আক্রমণ করেন। সেই নিয়েই আপাতত সরগরম রাজ্য রাজনীতি।
কল্যাণ বলেন, “কাশ্মীর ভারতেরই অঙ্গ। কেউ যদি বলে সেখানে যাবেন না, তাহলে সে পাকিস্তানের ভাষায় কথা বলছে। এর থেকে বড় পাকিস্তানি চর আর কেউ হতে পারে না।” কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, শুভেন্দু অধিকারী কাশ্মীর সফর নিয়ে এমন মন্তব্য করেছেন যা দেশের অখণ্ডতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে।
তাঁর কথায়, “শুভেন্দু বলছে কাশ্মীরে যাবেন না, তোরা আগে প্রধানমন্ত্রীকে আটকাস। কাশ্মীর তো ভারতেরই অংশ। তোরা কেন বাধা দিচ্ছিস?” একইসঙ্গে তিনি দাবি করেন, এই ধরনের বক্তব্য আসলে বিজেপির রাজনৈতিক কৌশল, যেখানে হিন্দু-মুসলিম বিভাজন সৃষ্টি করে রাজনীতি করা হচ্ছে।
জাজবাত বাংলায় আরও পড়ুন
বিজেপির বিরুদ্ধে আরও একধাপ এগিয়ে কল্যাণ বলেন, “হিন্দু তোদের বাপের সম্পত্তি নয়। বিজেপির অনেকেই জালি হিন্দু, আসল হিন্দু তারাই যারা সব ধর্মের মানুষকে একসঙ্গে নিয়ে চলে।” তাঁর মতে, বিজেপির লক্ষ্য হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা লাগিয়ে রক্তের উপর দিয়ে মুখ্যমন্ত্রিত্বে পৌঁছনো।
এই মন্তব্য ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। বিধানসভা নির্বাচন এক বছরও বাকি নেই, তার আগে এই রাজনৈতিক তরজা আরও গভীর হবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।