জেন জ়ি হন বা মিলেনিয়াল, কে-ড্রামা যে যুবক-যুবতীদের মনে বিশেষ প্রভাব ফেলছে তা বলাই বাহুল্য। শুধু তাঁদের শিল্প না, তাঁদের ক্যুইজ়িনের পাশাপাশি রূপচর্চার কৌশলও এখন বিশেষ আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাঁদের মতো উজ্জ্বল ত্বকের রহস্যভেদ করতে গিয়ে আমাদের জীবনেও এখন ‘রাইস ফেস মাস্ক’-এর অবাধ যাতায়াত। কোরিয়ানদের শতাব্দী প্রাচীন এই টোটকা ঘরোয়া, এবং চাইলে আপনিও বাড়িতে সহজেই বানিয়ে ফেলতে পারবেন এই ফেস মাস্ক। কীভাবে?
অর্ধেক কাপ চাল নিয়ে ভালো করে সেটা ধুয়ে এক কাপ জলে ভিজিয়ে রাখুন। অন্তত ঘণ্টা চারেক ভিজতে দেবেন চালটাকে, যাতে এর থেকে সমস্ত পুষ্টি ও উৎসেচক বের হতে পারে। এবার সেই জল ঝরিয়ে তাকে একটা ব্লেন্ডার বা মিক্সিতে ঢালুন। এতে মেশান এক টেবিল চামচ মধু, এক টেবিল চামচ দই। মিক্সি চালিয়ে নরম একটা পেস্ট মতো তৈরি করে ফেলুন। এবার এই মিশ্রণে এক চা চামচ রাইস ব্র্যান তেল দিয়ে আবার ভালো করে ব্লেন্ড করে নিন। এই তেল দেওয়ার ফলে এর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টস ও ফ্যাটি অ্যাসিড ত্বককে পুষ্টি দেয় ও জীবাণু থেকে রক্ষা করে।
জাজবাত বাংলায় আরও পড়ুন
এই পেস্ট বা মিশ্রণকেই নিজের মুখে মাস্কের মতো লাগিয়ে নিন। চোখে আশপাশ এড়িয়ে যাবেন। এবার ১৫ থেকে ২০ মিনিট রিল্যাক্স করুন। এই মাস্ককে ত্বকে ম্যাজিক করার সময় দিন। শুকিয়ে গেলে ভালো করে মুখ ধুয়ে ফেলুন। উষ্ণ গরম জলে ধুয়ে নেবেন এবং তারপর শুকনো করবেন পরিষ্কার তোয়ালে দিয়ে। তবে পুরোটাই খুব আলতো হাতে করবেন। রগড়ালে ত্বকে জ্বালা করতে পারে। এই মাস্ক ব্যবহারের পর অবশ্যই মুখে টোনার ও ময়শ্চরাইজ়ার লাগাবেন। তাকে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য অটুট থাকে। নিয়মিত এই মাস্ক ব্যবহার করলে মুখের গর্ত বা দাগ মিলিয়ে যায়, প্রদাহ কমায়, এবং হারিয়ে যাওয়া ঔজ্জ্বল্য, নমনীয় ভাব ফিরিয়ে আনে।