ফিরল না ২০১০ -এর মোহালি। হোম অব ক্রিকেটে রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ের পর শেষ হাসি হাসল সেই ব্রিটিশরাই। ২০১৯ সালের ১৪ জুলাই লর্ডসে এক টানটান থ্রিলারে ওডিআই বিশ্বকাপ জিতেছিল ইংল্যান্ড। বিশ্বজয়ের ষষ্ঠ বর্ষপূর্তিতে সেই লর্ডসেই আরও একটা মনে রাখার মত জয় ছিনিয়ে নিলেন বেন স্টোকসরা। তাঁদের দেওয়া ১৯৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৭০ এই শেষ টিম ইন্ডিয়া।
লর্ডসে পঞ্চম দিন শুরু আগেই হুংকার দিয়েছিল ইংরেজ শিবির। রবিবার সন্ধ্যায় ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলা ভারতকে প্রথম ১ ঘন্টাতেই শেষ করে দেবে তারা। সেই কথা অবশ্য রাখতে পারলেন স্টোকস-আর্চাররা। খেলা গড়াল অন্তিম সেশন পর্যন্ত। তবে শেষ পর্যন্ত নিজেদের প্রথম বিশ্বকাপ জয়ের (৫০ ওভারের) দিনটিকে নতুন করে স্মরণীয় করে রাখলেন তাঁরা। লন্ডনের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া টেমস নদীর জলে বিসর্জন ঘটল দুই টেল এন্ডার জশপ্রীত বুমরাহ্ এবং মহম্মদ সিরাজকে নিয়ে রবীন্দ্র জাদেজার অদম্য লড়াইটির।
জাজবাত বাংলায় আরও পড়ুন
জোফরা আর্চারের আগুনে বোলিংয়ে লাঞ্চের আগেই ১১২ রানে অষ্টম উইকেট পড়ে গিয়েছিল ভারতের। সেই জায়গা থেকে উঠে এসে মাত্র ২২ রানে হার। রবীন্দ্র জাদেজা ১৮১ বলে ৬১ রানে অপরাজিত থাকলেন ঠিকই। তবে এই স্কোরের নেপথ্যে আসলে বুমরাহ্-সিরাজ। চলতি সিরিজে লোয়ার অর্ডার ধ্বসের কারণে একাধিকবার ম্যাচের রাশ খুইয়েছে ভারত। সোমবার লর্ডসে রুখে দাঁড়াল সেই লোয়ার অর্ডারই। ৯ নম্বরে নামা বুমরাহ্ আর ১০ নম্বর সিরাজ, দুজনে মিলে খেললেন মোট ৮৪ টি বল। দুজনকে নিয়ে রবীন্দ্র জাদেজার লড়াই দেখতে দেখতে মনে পড়ে যাচ্ছিল ২০১০ সালের ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া, মোহালি টেস্ট।
সেবার শেষ ইশান্ত শর্মা এবং প্রজ্ঞান ওঝাকে সঙ্গী করে ভারতকে এক অবিশ্বাস্য জয় এনে দিয়েছিলেন ভিভিএস লক্ষ্মণ। শেষ দুই উইকেটে ৯২ রান তাড়া করেছিলেন তাঁরা। ঐতিহাসিক ‘ক্রিকেটের মক্কা’য় সে ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে হতেও হল না। আঙুলের চোটে কাবু শোয়েব বশিরকে দিন তথা ম্যাচের অন্তিম সেশনে নামিয়ে ফাটকা খেলেন ক্যাপ্টেন বেন স্টোকস। সেই বশিরের বলেই দুর্ভাগ্যজনকভাবে বোল্ড হয়ে গেলেন সিরাজ। অফ স্টাম্পের বাইরে টসড আপ ডেলিভারি ডিফেন্ড করার চেষ্টা করলেও বল ব্যাটে লেগে তাঁর পিছন দিয়ে গিয়ে ধাক্কা খেল স্টাম্পে। সেইসঙ্গে মৃত্যু ঘটে গেল আসমুদ্র হিমাচলের স্বপ্নেরও।