‘হোম অব ক্রিকেট’ কি শুধুই ক্রিকেটের বাসভূমি? লন্ডনের ঐতিহাসিক লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ডকে বলা হয়, ‘হোম অব ক্রিকেট’। এর পাশাপাশি এই মাঠকে ডাকা হয়, ‘ক্রিকেটের মক্কা’ নামেও। তবে যদি ভেবে থাকেন দুই শতাব্দীরও বেশি প্রাচীন এই মাঠের একমাত্র অ্যাট্রাকশন ক্রিকেট নামক খেলাটি, তা হলে সে ধারণা মোটের ওপর ভুল। ‘ক্রিকেটের মক্কা’কে বলা যেতে পারে ‘সুখাদ্যের মক্কা’ও। কারণ ক্রিকেটের পাশাপাশি এই মাঠের খাবার দাবারও কিন্তু রীতিমত জনপ্রিয়।
ঐতিহাসিক মাঠটিতে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে মুখোমুখি হয়েছে ভারত এবং ইংল্যান্ড। ম্যাচের চতুর্থ দিন লর্ডসের মেনু কার্ডের একটি ছবি ছড়িয়ে পড়ে সমাজ মাধ্যমে। এই ছবিতে রবিবারের লাঞ্চ মেনুতে যে বহর দেখা গিয়েছে তাতেই নতুন করে আরও একবার স্পষ্ট, এমনি এমনি মাঠটির নাম লর্ডস হয়নি। ক্রিকেটকে চিরকালই মনে করা হয়, ‘এলিট’ অর্থাৎ অভিজাত শ্রেণির খেলা। কাজেই ক্রিকেট খেলুড়েদের জন্য যে রাজকীয় খানাপিনার বন্দোবস্ত করা হবে তাতে আর আশ্চর্য কী! ভাইরাল হওয়া দুপুরের মেনুতে দেখা গিয়েছে সেই রাজকীয় খানারই বহর।
দিন কয়েক আগেই লর্ডসের ২২ গজে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকা। সেই ম্যাচেও লর্ডসের খাওয়া দাওয়া নিয়ে সুখ্যাতি করতে শোনা গিয়েছিল ধারাভাষ্যকারদের। এমনকি একজন এ কথাও বলেন যে, যদি কোনও ব্যাটার এখানে মধ্যাহ্নভোজের বিরতির ঠিক আগে আউট হন তা হলে প্রথম কয়েক মিনিটই তাঁর নিজের উইকেটের জন্য শোক থাকে। তারপর তিনি সম্পূর্ণরূপে মনোনিবেশ করেন লাঞ্চে। রবিবার ভাইরাল হওয়া ছবিটি প্রমাণ করে দিয়েছে, মোটেই বাড়িয়ে বলেননি উক্ত ধারাভাষ্যকার।
জাজবাত বাংলায় আরও পড়ুন
ছবিতে দেখা গিয়েছে, রবিবারের লাঞ্চ মেনুতে ছিল মাছ, মাংস এবং সবজির রকমারি পদ। একদিকে যেমন ছিল বাসমতি চালের ভাত, পনির কোর্মা, চিকেন টিক্কা কারির মত ভারতীয় খানা। তেমনই খুব স্বাভাবিকভাবেই অভাব ছিল না মুরগি, চিংড়ি বা বিভিন্ন সবজির বিভিন্ন বিলিতি এবং ইউরোপীয় পদেরও। বাদ যায়নি বিখ্যাত কড মাছের ফিলে এবং মুচমুচে ফিশ ফ্রাইও।
এ ছাড়া পুদিনা পাতা দিয়ে টোম্যাটো স্যুপ কিংবা ফ্রুট স্যালাড তো ছিলই। সবচেয়ে বড় কথা, এ ব্যবস্থা শুধুমাত্র যে ক্রিকেটারদের জন্যই তা তো নয়। ম্যাচটির সঙ্গে যুক্ত বিশেষজ্ঞরাও শামিল এই মহাভোজে। তাই আমিষ, নিরামিষ ব্যবস্থাই ছিল দু’রকমই।