হকির এশিয়া কাপ খেলতে ভারতে নাও আসতে পারে পাকিস্তান। এমন কথাই শোনা যাচ্ছে সম্প্রতি। এ বছর পুরুষদের এশিয়া কাপ হকি হওয়ার কথা ভারতে। কিন্তু পাকিস্তান এ দেশে খেলতে আসবে কি না, সে বিষয়ে কৌতুহল ছিল অনেকদিন ধরেই। ভারত সরকার প্রথমে পাকিস্তানের দলকে আসার অনুমতি দিতে চায়নি। অনেক টালবাহানার পর সরকার শেষমেশ রাজি হয়েছে। কিন্তু এ বার বেঁকে বসেছে পাকিস্তানই।
পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার ঘটনার পর দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক পুরোপুরি তলানিতে। এই পরিস্থিতিতে ইতিমধ্যেই পাকিস্তানের সঙ্গে ক্রিকেট বন্ধের ডাক দিয়েছেন বিশেষজ্ঞ থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ। পাশাপাশি এশিয়া কাপ হকি খেলতেও চিরশত্রুদের এ দেশে আসতে দিতে চায়নি মোদি সরকার। অনেক জলঘোলার পর শেষপর্যন্ত সরকার সেই আপত্তি তুলে নিলেও পাকিস্তান জানিয়েছে, আগে তারা নিরাপত্তার দিকটি খতিয়ে দেখবে। যদি তারা সন্তুষ্ট হয়, তা হলেই দল পাঠাবে।
পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফের অধীনস্থ যুব উন্নয়ন এবং ক্রীড়া দফতরের চেয়ারম্যান রানা মাসুদ খান জানিয়েছেন, ভারতের মাটিতে পাকিস্তান দলের নিরাপত্তা এবং সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। তাই নিরাপত্তা ব্যবস্থা আগে খতিয়ে দেখা হবে। এরপর যদি পাক সরকার সন্তুষ্ট হয়, তা হলেই পাকিস্তানের হকি দল আসবে ভারতে। যদি একটি খ্যাতনামা সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও ঘোষণা না করা হলে পাকিস্তান আসবে না এ দেশে।
জাজবাত বাংলায় আরও পড়ুন
বরং তারা নিজেদের ম্যাচগুলি খেলতে চায় কোনও নিরপেক্ষ ভেন্যুতে। ঠিক যেমনটা ক্রিকেটের ক্ষেত্রে ভারত করেছিল ২০২৩ সালের এশিয়া কাপ এবং এই বছরের শুরুতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে। পাকিস্তানের হকি সংস্থার সভাপতি আখতার রসুল সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে এমন কথাই জানিয়েছেন। তবে ক্রিকেটের সঙ্গে হকিকে এক করলে চলবে না। হকি অলিম্পিক্সের অন্তর্ভুক্ত। আর অলিম্পিক্সের নিয়ম অনুযায়ী, রাজনৈতিক সম্পর্কের কারণে কোনও দেশই অন্য দেশের দল বা নির্দিষ্ট কোনও খেলোয়াড়কে নিষিদ্ধ করতে পারে না। সুতরাং পাকিস্তান যদি এ দেশে খেলতে না আসে তা হলে ভবিষ্যতে অলিম্পিক্সের অন্তর্ভুক্ত কোন খেলার প্রতিযোগিতা আয়োজন করতে সমস্যায় পড়তে পারে ভারত।