অফিস থেকে বেরোলেন বা অন্য কোনো কাজে বেরিয়েছেন। হঠাৎ চোখে পড়ল রাস্তার ধারে বা বাজারে ভুট্টা ভাজার দোকান। কয়লার উনানে ভাজা ভুট্টার মনকাড়া গন্ধে খাওয়ার লোভ কিছুতেই সামলাতে পারছেন না। কিন্তু মস্তিষ্ক বলছে শরীরে যে থাবা মেরেছে চিনি রোগ মানে ডায়াবেটিস। ভুট্টা খাওয়া কি ঠিক হবে? বৃষ্টির এই মাসগুলিতেই সাধারণত ভুট্টা পাওয়া যায়। তবে আজকাল তো প্যাকেটজাত ভুট্টা বা কর্ন বাজারে সহজ উপলভ্য। অনেকেই এই সময়ে রান্না করে বা স্যালাডে মিশিয়ে ভুট্টা খেয়ে থাকেন। তবে ডায়াবেটিস রোগীরা এই স্বাদ উপভোগ করতে গিয়ে দ্বিধায় পড়েন—ভুট্টা কি আদৌ তাঁদের জন্য ভালো? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা? আসুন জানা যাক তাহলে।
জাজবাত বাংলায় আরও পড়ুন
বিশেষজ্ঞদের মতে, ভুট্টা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য একেবারে নিষিদ্ধ নয়। খেতেই পারেন। কিন্তু খেতে হবে সঠিক পরিমাণে। তাহলে উপকারীও। কারণ, ভুট্টাতে রয়েছে ফাইবার, প্রয়োজনীয় ভিটামিন, মিনারেল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এই উপাদানগুলো ডায়াবেটিস রোগীদের স্বাস্থ্যের পক্ষে সহায়ক। তবে শর্ত সেই একটাই, খেতে হবে পরিমাণ বুঝে।
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য সব থেকে ভালো হয় যদি ভুট্টা সিদ্ধ করে বা গ্রিল করে খান । এতে অতিরিক্ত ফ্যাট বা চিনি যোগ না হওয়ায় রক্তে শর্করার ওপর হঠাৎ করে প্রভাব পড়ে না। ভুট্টা সালাডে ব্যবহার করলেও তা ভালো বিকল্প হতে পারে।
আরও পড়ুন
ভাত ও ভুট্টার তুলনা করলে দেখা যায়, ভুট্টা রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়াতে অপেক্ষাকৃত ধীর গতিতে কাজ করে, কারণ এতে ফাইবারের পরিমাণ অনেক বেশি। সেই কারণে ভুট্টা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ভাতের চেয়ে তুলনামূলকভাবে ভালো বিকল্প হতে পারে।
তবে মনে রাখতে হবে, ভুট্টার অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে হতে পারে হিতে বিপরীত। রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা হঠাৎ বেড়ে যেতে পারে। তাই খান পরিমাণ মতো।