২০০২ সালে ন্যাটওয়েস্ট ট্রফির ফাইনাল জিতে লর্ডসের ঐতিহাসিক ব্যালকনিতে জামা খুলে উড়িয়েছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই ঘটনাই কি সোমবার হোম অব ক্রিকেটে ভারতকে নাস্তানাবুদ করার ক্ষেত্রে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে জোফরা আর্চারকে? ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এক গোপন কথা ফাঁস করেছেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক বেন স্টোকস। তারপর থেকে শুরু হয়েছে এই জল্পনাই।
সোমবার ছিল ইংল্যান্ডের প্রথম ওডিআই বিশ্বকাপ জয়ের ষষ্ঠ বর্ষপূর্তি। একই দিনে সেই লর্ডসেই আরও একটি রুদ্ধশ্বাস জয় ছিনিয়ে নিয়েছেন ইংরেজরা। বিশ্বকাপ ফাইনালের মত এদিনও জ্বলে উঠেছিলেন আর্চার। ৫৫ রান দিয়ে নেন ৩ টি উইকেট।ঋষভ পন্থ ও ওয়াশিংটন সুন্দরকে পর পর আউট করে টিম ইন্ডিয়ার কোমর ভেঙে দেন তিনি। ম্যাচ শেষে অধিনায়ক স্টোকস আর্চারের এ হেন দুর্দান্ত বোলিং সম্পর্কে বলতে গিয়ে জানান, ক্যারিবিয়ান বংশোদ্ভূত দীর্ঘদেহী পেসার সোমবার নাকি সৌরভের জামা ওড়ানোর ভিডিওটি দেখে নেমেছিলেন।
লর্ডসের ব্যালকনিতে সৌরভের জামা ওড়ানো ভারতীয় ক্রিকেটের অন্যতম এক আইকনিক মুহূর্ত। মাত্র এক বছর আগে ভারতের মাটিতে ওয়ানডে সিরিজ ড্র করার পর জামা খুলে উড়িয়েছিলেন অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফ। তারই বদলা স্বরূপ ২০০২ সালে লর্ডসে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ন্যাটওয়েস্ট ট্রফি জেতার পর জামা উড়িয়েছিলেন মহারাজও। তবে স্টোকস জানান, আর্চার মনে করেছিলেন সেটি বোধহয় বিশ্বকাপ ফাইনালের ঘটনা। ইংল্যান্ড অধিনায়কের কথায়, “আমি ওর ভুলটা ভাঙিয়েছিলাম। বলেছিলাম, ওটা ন্যাটওয়েস্ট ফাইনাল ছিল। বিশ্বকাপ ফাইনালে আমরা জিতেছি।”
স্টোকসের এই বক্তব্যের পর খুব সঙ্গতভাবেই কৌতুহল দেখা দিয়েছে ক্রিকেট মহলে। তা হলে কি সৌরভকে জামা ওড়াতে দেখেই উদ্দীপ্ত হয়েছেন জোফরা আর্চার? আর তাতেই ধ্বংস করেছেন ভারতীয় ব্যাটিংকে? স্টোকস অবশ্য এও জানিয়েছেন, আর্চারকে তিনি ৬ বছর আগের বিশ্বকাপ জয়ের কথাও মনে করিয়েছিলেন। বলেন, “সকালে ঘুম থেকে উঠেই আমার ৬ বছর আগের দিনটা মনে পড়ে গিয়েছিল। তাই সোজা আর্চারের কাছে চলে যাই। সেদিন বিশ্বকাপ জিততে বড় ভূমিকা নিয়েছিল ও। তাই এই ম্যাচটা আমরা কীভাবে জিততে পারি, সেই নিয়ে আলোচনা করছিলাম। শেষপর্যন্ত নিজের কাজটা করেও দেখাল আর্চার।”