বর্ষাকাল মানেই তো ইলিশের মরশুম। রুপালি এই মাছটি এমনিতেই বাঙালির ভীষণ প্রিয়। সর্ষে দিয়ে ইলিশ তো প্রচুর খেয়েছেন। কিন্তু আজ ইলিশের অন্যরকম এক রেসিপির হদিশ দিই। যা শুধু স্বাদে নয় গুণে স্বাস্থ্যের পরম বন্ধু। পেঁয়াজকলি দিয়ে ইলিশের ঝোল। এই রেসিপিকে স্বাস্থ্যকর বলার কারণ এখানে ব্যবহার করা পেঁয়াজকলির ঔষধি গুণ। অনেকেই জানেন না, পেঁয়াজকলিতে প্রচুর মাত্রায় রয়েছে অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান। যা আমাদের, পাকস্থলি, লিভার কিংবা ইউরিন ইনফেকশন রোধ করতে কাজ করে। এছাড়া শরীরের কোনও জায়গা কেটে গেলে রক্তপাত বন্ধ করতে এবং সেই ক্ষত অংশকে জীবাণু মুক্ত করতেও পেঁয়াজকলি দারুণভাবে কাজ করে। টাইফয়েড সারাতেও পেঁয়াজকলি ভীষণ উপকারি। এছাড়া পেঁয়াজকলির মধ্যে আছে অ্যান্টি-পাইরেটিক উপাদান যা জ্বর বা সর্দি কাশির মতো রোগকে আপনার থেকে দূরে রাখে। এমনকী উজ্জ্বল ত্বক পেতে নিয়মিত খেতে পারেন পেঁয়াজকলি । ঘামের গন্ধ রোধ করতেও পেঁয়াজকলি অসামান্য ।
জাজবাত বাংলায় আরও পড়ুন
উপকরণ
সবার প্রথমে টুকরো করা পিঁয়াজকলি, কোচানো ধনেপাতা, ১টি টমেটো, ৪ টি কাঁচালঙ্কা ও ১/২ চামচ কালো জিরে, একসাথে সামান্য একটু জল দিয়ে পেস্ট করে নিন। কিন্তু কালোজিরের পরিমাণ একটু কম রাখবেন না হলে মশলা একটু তিতকুটে হয়ে হবে।
পদ্ধতি
খুব সামান্য হলুদ গুঁড়ো ও পরিমাণ মতো নুন দিয়ে ইলিশ মাছগুলো মেখে রাখুন।
এবার কড়াই গরম করে তাতে সরষের তেল গরম হতে দিন. ইলিশ মাছগুলি হাই ফ্লেমে ২ মিনিট করে, দুপিট ভেজে তুলে নিতে হবে।
এবার ওই তেলেই ১/২ চামচ কালো জিরে ফোড়ন দিয়ে সুন্দর গন্ধ বেরোলে, পিঁয়াজকলির পেস্ট ঢেলে দিতে হবে। ভালো করে নেড়েচেড়ে ১/২ কাপ জল ঢেলে ফুটতে দিতে হবে। ভালো করে ফুটে উঠলে, পরিমাণ মতো নুন ও ১ চামচ চিনি দিয়ে নেড়েচেড়ে, ভেজে রাখা ইলিশ মাছ দিয়ে ঢেকে দিতে হবে অল্প আঁচে। ৫ মিনিট পর ঢাকা খুলে মাছ গুলি উল্টে দিয়ে আরও ৫ মিনিট ঢেকে রান্না করতে হবে। এবার ঢাকা খুলে ঝোল একটু মাখা-মাখা হয়ে এলে নুন মিষ্টি চেক করে, গ্যাস ওভেন নিভিয়ে দিন । ব্যাস রেডি আপনার সুস্বাদু পেঁয়াজকলি দিয়ে ইলিশ।