লর্ডস টেস্টে রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ের পর হার মেনেছে টিম ইন্ডিয়া। এই হারের পর অনেকেই দায়ী করছেন অধিনায়ক শুভমন গিল এবং তাঁর অতি আগ্রাসী মানসিকতাকে। সামাজিক মাধ্যমে কেউ কেউ এমনটাও বলছেন, ম্যাচ চলাকালীন গিল এন্ড কোংয়ের অতিরিক্ত আগ্রাসন ইংরেজদের আঁতে এতটাই ঘা দিয়েছিল যে পঞ্চম দিনে লড়াইটা তাঁদের কাছে হয়ে দাঁড়ায় আত্মসম্মানের। সে কারণেই বল হাতে এতটা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছিলেন অধিনায়ক বেন স্টোকস কিংবা জোফরা আর্চার, ব্রাইডন কার্সরা।
একই প্রশ্ন সাংবাদিক সম্মেলনে রাখা হয় ভারত অধিনায়কের কাছে। কিন্তু তিনি সম্পূর্ণ ভিন্ন মত পোষণ করেছেন। ভারত অধিনায়ক মনে করেন না যে, তৃতীয় বা চতুর্থ দিন মাঠের মধ্যে যে বিতর্কিত ঘটনাগুলি ঘটেছে সেসবের জন্যই হারতে হয়েছে দলকে। বরং তিনি তুলে ধরেছেন বেশ কিছু অন্য কারণ। তুলে ধরেছেন দলের ব্যর্থতা এবং ত্রুটির দিকগুলি। পাশাপাশি এও জানান, খেলার মাঠে আবেগ থেকে এ ধরণের ঘটনা ঘটে যেতেই পারে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে ক্রিকেটাররা একে অপরকে সম্মান করেন না।
তৃতীয় দিনের শেষ লগ্ন থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে লর্ডসের আবহাওয়া। ইংরেজ ওপেনার জ্যাক ক্রলির বিরুদ্ধে সময় নষ্টের অভিযোগ আনার পর আরেক ওপেনার বেন ডাকেটের সঙ্গে তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়েন অধিনায়ক গিল। এরপর চতুর্থ দিন দুই ওপেনারকে আউট করে একটু বেশিই আগ্রাসী ভঙ্গিতে উদযাপন করেছিলেন ভারতীয় বোলাররা। অধিনায়কের ইন্ধনে ক্রমাগত স্লেজ চালিয়ে যান তাঁরা। এরপর দিনের শেষে নতুন করে আবার বিবাদে জড়িয়ে পড়েন দুই দলের ক্রিকেটাররা।
শুভমন গিলের মতে, এই ঘটনাগুলির কারণে হারতে হয়নি তাঁদের। বলেন, “না, ৫ মিনিটের ঘটনা কখনওই ৫ দিনের খেলার ফলাফল নির্ধারণ করতে পারে না। আমাকে যদি জিজ্ঞেস করেন, ওই বিবাদের ঘটনা হারের কারণগুলির মধ্যে থাকবে না।” এরপরই যোগ করেন, “পন্থের রান আউট হয়ে যাওয়াটা একটা অন্যতম বড় কারণ। ওই সময় মনে হচ্ছিল আমরা হয়ত ৫০ থেকে ১০০ রানের লিড নিতে পারব। যেটা করতে পারলে ইংল্যান্ড চাপে পড়ে যেত। ওদের দ্বিতীয় ইনিংসে আরও বেশি রান করতে হত। কিন্তু পন্থ আউট হওয়ায় খেলা ঘুরে গেল।”
