সময়টা সত্যিই ভাল যাচ্ছে না ইস্টবেঙ্গলের। এত দিন আইএসএল বা অন্যান্য সর্বভারতীয় প্রতিযোগিতাগুলিতে মুখ থুবড়ে পড়েছিল দল। আর এ বার মশাল নিভু নিভু কলকাতা লিগেও। মঙ্গলবার মামণি পাঠচক্রের কাছে ০-১ হেরে গেল বিনো জর্জের প্রশিক্ষণাধীন লাল হলুদ বাহিনী। এ দিকে এর পরের ম্যাচই ডার্বি। এই অবস্থায় খুব স্বাভাবিকভাবেই ইস্টবেঙ্গলকে নিয়ে চিন্তা বাড়ছে সমর্থকদের।
ডার্বির আগে ব্যারাকপুর স্টেডিয়ামে এই ম্যাচ যেন চোখে আঙুল দিয়েই দেখিয়ে দিল ইস্টবেঙ্গলের খামতিগুলি। এর আগের ম্যাচে কাস্টমসের কাছে হারতে হারতে কোনও মতে ড্র করেছিল লাল হলুদ বাহিনী। একটা সময় ২ গোলে পিছিয়ে থেকেও শেষপর্যন্ত সমতা ফেরাতে সক্ষম হয় তারা। এরপর পাঠচক্রের বিরুদ্ধে মঙ্গলবারের ম্যাচ তাদের কাছে ছিল কার্যত ডার্বির আগের প্রস্তুতি। সেই প্রস্তুতিতেও রয়ে গেল খামতি।
পাঠচক্রের হয়ে একমাত্র গোলটি করেছেন ডেভিড মতলা। ৮৭ মিনিটের মাথায় ইস্টবেঙ্গলের রক্ষণভাগের ভুল বোঝাবুঝিতে বল পেয়ে যান ডেভিড। এরপর সেখান থেকে বল জালে জড়িয়ে দিতে কোনও ভুলই হয়নি তাঁর। এই জয়ের ফলে লিগে ৪ ম্যাচের ৪ টিতেই জিতে এখন লিগ শীর্ষে পার্থ সেনের ছেলেরা। অন্যদিকে ইস্টবেঙ্গল ডুবল ফোকলা ডিফেন্স আর ফুটবলারদের মধ্যে পারস্পারিক বোঝাপড়ার অভাবের কারণে। যা মোহনবাগানের বিরুদ্ধে আসন্ন ডার্বিতে দেখা দিতে পারে এক বড়সড় দুর্বলতা হয়ে।
আগের দিন পাঠচক্রের সঙ্গে ড্র করার পর সমর্থকদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছিলেন কোচ বিনো জর্জ। কিন্তু তাঁর দলেই যেখানে একাধিক ফাঁকফোকর, সেখানে ক্ষমা চেয়ে লাভ কী? মঙ্গলবারের ব্যারাকপুর ইস্টবেঙ্গল যে অভাবটা সবথেকে বোধ করেছে তা হল একজন পরিণত স্ট্রাইকারের অভাব। যে কারণে ম্যাচের শেষ লগ্নে ক্ষমতা ফেরানোর সুযোগ এলেও তা কাজে লাগান যায়নি। দুর্দান্ত ক্ষিপ্রতায় তাদের আটকে দেন পাঠচক্রের সদ্য মাতৃহারা গোলরক্ষক অর্ণব দাস। চিনের প্রাচীরের মত তাঁর দাঁড়িয়ে থাকার কারণেই শেষমেষ মশাল নিভল লাল হলুদ জার্সিধারীদের।