১০ বছর পর্দা উঠলো হায়দারাবাদের কঙ্কাল কাণ্ডের। নেপথ্যে পুরোনো ফোন এবং বাতিল নোট। উল্লেখ্য, হায়দরাবাদের নামপল্লি এলাকার ফাঁকা বাড়ি থেকে একটি কঙ্কাল উদ্ধারকে কেন্দ্র করে যে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছিল তার অবশেষে সমাপ্তি ঘটল একটি পুরোনো ফোন এবং বাতিল কিছু নোটে।
হায়দরাবাদের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অফ পুলিশ (এসিপি) কিশান কুমার জানিয়েছেন, সোমবার এক স্থানীয় যুবক ক্রিকেট বল খুঁজতে গিয়ে ওই বাড়ির ভিতর ঢুকে কঙ্কালটি দেখতে পান এবং ভিডিও করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেন। তদন্তের পর জানা গেছে, উদ্ধার হওয়া কঙ্কালটি সম্ভবত ১০ বছর আগে নিখোঁজ আমির খানের । তাঁর বয়স সম্ভবত ৫০-এর কাছাকাছি। তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন বলেও আশঙ্কা। মৃতের গায়ে কোনও আঘাতের চিহ্ন বা রক্তের দাগ পাওয়া যায়নি। মনে হচ্ছে, স্বাভাবিক মৃত্যুই হয়েছে।
মঙ্গলবার তদন্তকারী আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ১০ বছর আগে এই বাড়িতেই মৃত্যু হয়েছিল আমিরের। কিন্তু কেউ খোঁজ না রাখায় তাঁর মৃত্যু সম্পর্কে কেউ জানতেই পারেননি। ওই বাড়িটির মালিক মুনির খান নামে এক ব্যক্তি, যাঁর ১০ জন সন্তান রয়েছে। এলাকাবাসীদের দাবি, বাড়িটি গত সাত বছর ধরে ফাঁকা পড়ে রয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মুনির খানের চতুর্থ সন্তান আমির। বাকি ভাইবোনেরা অন্যত্র চলে গিয়েছিলেন।
মৃত্যুর রহস্য ফাঁসে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হিসেবে উঠে এসেছে একটি পুরনো নোকিয়া ফোন ও বাতিল হয়ে যাওয়া টাকা। ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোটের ভিত্তিতে পুলিশ মনে করছে, ২০১৬-র নোট বাতিলের আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছিল। এগুলি কঙ্কালের পাশ থেকে উদ্ধার হয়েছে। ফোনটি অনেকদিন বন্ধ ছিল। সারিয়ে ফের চালু করার পর দেখা যায়, ২০১৫ সালে ৮৪টি মিসড কলের রেকর্ড রয়েছে।
কঙ্কালের পাশে পাওয়া একটি আঙটির মাধ্যমে তিনি তাঁর দাদাকে শনাক্ত করেছেন, সেই সঙ্গে মৃতদেহের সঙ্গে পাওয়া হাফপ্যান্টও আমির খানের বলে নিশ্চিত করেছেন শাদাব খান।