কলকাতা থেকে একাধিক ইউনিট এবং দফতর সরাচ্ছে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। যা নিয়ে চরম ক্ষুব্ধ ‘ব্যাঙ্ক বাঁচাও দেশ বাঁচাও মঞ্চ’ নামে একটি মঞ্চ। শুধু তাই নয়, এই বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দেওয়া হয়েছে এই মঞ্চের তরফে। এহেন পদক্ষেপ বন্ধে মুখ্যমন্ত্রী যাতে হস্তক্ষেপ করেন সেই আবেদন জানানো হয়েছে। যদিও প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এই বিষয়ে প্রশাসনের তরফে কিছু জানানো হয়নি। তবে এই বিষয়ে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে ‘ব্যাঙ্ক বাঁচাও দেশ বাঁচাও মঞ্চে’র সদস্যরা।
সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, কলকাতা থেকে গ্লোবাল মার্কেট ইউনিট (জিএমইউ), সেন্ট্রাল গ্লোবাল ব্যাক অফিস (সিজিবিও) সহ তিনটি প্রসেসিং সেন্টার সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। ওই নাগরিক মঞ্চের দাবি, এসবিআই’য়ের এই সিদ্ধান্তের ফলে ৬০০ রও বেশি কর্মীর চাকরি অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। শুধু তাই নয়, ২৫ কোটি টাকা রাজ্য জিএসটি রাজস্ব হারাবে বলেও দাবি।
জাজবাত বাংলায় আরও পড়ুন
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে লেখা চিঠিতে নাগরিক মঞ্চের তরফে একটি চিঠির উল্লেখ করা হয়েছে। যা ২০০৮ সালের ১৩ মার্চ ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ, অফিসার এবং স্টাফ ফেডারেশনের মধ্যে হয়। যেখানে স্পষ্টভাবে বলা হয় গ্লোবাল মার্কেট ইউনিট (জিএমইউ) কলকাতা থেকে কাজ চালিয়ে যাবে। কিন্তু সেই চুক্তিকে এখন অস্বীকার করা হচ্ছে বলে মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে দাবি মঞ্চের। একই সঙ্গে তাঁরা আরও জানিয়েছেন, স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার এহেন সিদ্ধান্তে অন্তত ১৫০ স্থায়ী কর্মী এবং ২০০ রও বেশি অস্থায়ী কর্মী কাজ হারাবে।
নাগরিক মঞ্চের এক সদস্যের কথায়, সব মিলিয়ে ৬০০ এরও বেশি পরিবার সমস্যার মধ্যে পড়বে। ফলে এই বিষয়ে অবিলম্বে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপ দাবি করা হয়েছে। ওই সদস্যের কথায়, মুখ্যমন্ত্রী অবিলম্বে এই বিষয়ে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলুক। এমনকী অর্থমন্ত্রকেও কথা বলে স্টেট ব্যাঙ্কের এহেন পদক্ষেপকে যাতে মুখ্যমন্ত্রী আটকান সেই দাবি জানানো হয়েছে ব্যাঙ্ক বাঁচাও দেশ বাঁচাও মঞ্চে’র তরফে।
আরও পড়ুন
যদিও আগেই এসবিআই এই বিষয়ে জানায়, নতুন শাখা খোলার ক্ষেত্রে কিংবা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় দফতর, ইউনিট সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় প্রয়োজন অনুযায়ী। ফলে কলকাতা থেকে একাধিক ইউনিট সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে এসবিআই কর্তৃপক্ষের যে কিছুই করার নেই তা স্পষ্ট। তবে মুখ্যমন্ত্রী এই বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ নেয় কিনা সেদিকেই নজর নাগরিক মঞ্চের।