ইংল্যান্ড সফরের ঠিক আগেই টেস্ট থেকে অবসর নিয়েছেন প্রাক্তন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। কিছু দিন যেতে না যেতেই একই পথে হাঁটেন বিরাট কোহলিও। এরপর থেকেই শুরু হয়েছে জল্পনা কল্পনা। বিসিসিআইয়ের চাপেই অবসরের সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন ‘রো-কো’। এমনটাই মনে করছেন ক্রিকেট মহলের একাংশ। কিন্তু সত্যিই কি তাই? এই বিষয়ে এত দিন নীরব থাকলেও অবশেষে মুখ খুলল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। তাদের তরফে এ বার আসল সত্যিটা সামনে আনলেন সহ সভাপতি রাজীব শুক্ল।
গত অস্ট্রেলিয়া সফরে রানের মুখ একেবারেই দেখেননি অধিনায়ক রোহিত। অন্যদিকে কোহলি পার্থের প্রথম টেস্টে সেঞ্চুরি করলেও বাকি সিরিজে চূড়ান্তভাবে ব্যর্থ। তখনই শোনা গিয়েছিল, দুই মহাতারকার এ হেন হতশ্রী দশা কোনও মতেই বরদাস্ত করবে না বোর্ড। মনে করা হয়েছিল, টিম ইন্ডিয়ার নেতারূপে আর হয়ত দেখা যাবে না রোহিতকে। ঠিক সেটাই হয়েছে। ইংল্যান্ড সফরের দল ঘোষণার ঠিক আগেই সামাজিক মাধ্যমে টেস্ট ক্রিকেট থেকে নিজের অবসরের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেন রোহিত। আশ্চর্যজনকভাবে, দিন কয়েক পর একই সিদ্ধান্ত নেন বিরাটও। যদিও রোহিতের মত চাপ তার ওপরেও ছিল বলে শোনা যায়নি কখনও।
কোহলির অবসর ঘোষণার পর বরং এমনটাই জানা গিয়েছিল, বোর্ড নাকি থেকে যাওয়ার অনুরোধই করেছিল প্রাক্তন ভারত অধিনায়ককে। অবশেষে এই সংক্রান্ত সকল ধোঁয়াশা দূর করলেন রাজীব শুক্ল। বিলেতের মাটিতে টেস্ট সিরিজ দেখতে গিয়ে রাজা চার্লসের সঙ্গে দেখা করেন বিসিসিআইয়ের সহ সভাপতি। এরপর এক সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সাফ জানান, “বিরাট এবং রোহিতকে আমরা সকলেই মিস করছি। কিন্তু একটা কথা আমি সকলের সামনে স্পষ্ট করে দিতে চাই। তা হল, ওরা নিজেরাই সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”
এতেই শেষ নয়। রাজীব আরও বলেন, “আমরা কখনও কোনও ক্রিকেটারকে বলে দিই না সে কখন কোন ফরম্যাট থেকে অবসর নেবে। এটা বোর্ডের নীতি নয়। এটা এটা পুরোপুরি ক্রিকেটারের সিদ্ধান্ত। ঠিক তেমনিই ওরা নিজেরা নিজেদের মত করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।” এর পাশাপাশি ভারতীয় ক্রিকেট ভবিষ্যতেও ‘রো-কো’ জুটির অভাব অনুভব করবে বলে জানিয়েছেন রাজীব শুক্ল, “দুজনেই বিরাট মাপের ক্রিকেটার। একটাই ভাল ব্যাপার। তা হল, এখনও ওয়ানডে রোহিত-বিরাটকে দেখা যাবে।