ক্লাব বিশ্বকাপ হয়েছে এর আগেও। তবে ২০২৫ সালের প্রতিযোগিতাটি জনপ্রিয়তার দিক থেকে একেবারে শিখরে পৌঁছে গিয়েছে। এ বছরের ক্লাব বিশ্বকাপকে ইতিমধ্যেই এক “বড় সাফল্য” বলে ঘোষণা করেছে ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা ফিফা (FIFA)। একইভাবে উচ্ছ্বাসের সাগরে ভাসছেন খোদ মার্কিন রাষ্ট্রপতিও। ক্লাব বিশ্বকাপের সাফল্য ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এতটাই নাড়িয়ে দিয়েছে যে এ বার নিজের দেশে ফুটবলের নামই পাল্টে ফেলার ইঙ্গিত দিলেন তিনি।
গোটা বিশ্বে ফুটবল নামে পরিচিত হলেও আমেরিকায় খেলাটির নাম, সকার। উল্টোদিকে, ফুটবল বলতে সে দেশের মানুষ চেনেন অন্য একটি খেলাকে। রাগবি জাতীয় একটি খেলা। কিন্তু দেশের মাটিতে বিশ্বকাপ আয়োজনের ঠিক এক বছর আগে রাষ্ট্রপতি ট্রাম্পও গা ভাসিয়ে দিলেন ‘ফুটবল’ নামক উন্মাদনার জোয়ারে। তিনি জানান, মার্কিন মুলুকের সকার যদি ফুটবলে রূপান্তরিত হয় তা হলে আরও ভাল হবে।
নিউ জার্সির মেট লাইফ স্টেডিয়ামে ক্লাব বিশ্বকাপ ফাইনালে উপস্থিত হয়েছিলেন ট্রাম্প। বিজয়ী দল চেলসির হাতে ট্রফি তুলে দেওয়ার পাশাপাশি সম্প্রচারকারী চ্যানেলকে একটি সাক্ষাৎকার দেন তিনি। সেখানেই বলেন, “ওরা এটাকে বলে ফুটবল। আর আমরা সকার বলে ডাকি। তবে আমেরিকায় এই নামটা কিন্তু সহজেই বদলানো যায়। আর তা আমি করে দিতেই পারি। তাতে ব্যাপারটা আরও ভাল হবে।” এর পাশাপাশি আরও একটি চাঞ্চল্যকর মন্তব্য করেছেন ট্রাম্প। যা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা।
জাজবাত বাংলায় আরও পড়ুন
মার্কিন রাষ্ট্রপতি বলেন, “আমার অফিসে ট্রফি উন্মোচনের পর আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম, এটা কবে নেওয়া হবে। তাতে ওরা জবাব দেয়, ট্রফিটা এখানেই থাকবে। টুর্নামেন্টের জন্য আলাদা একটা ট্রফি বানানো হবে। সেটাই হয়েছে। তবে আসল ট্রফিটা কিন্তু আমার ওভাল অফিসেই রয়ে গিয়েছে।” ট্রাম্পের এ হেন মন্তব্যের পরই ফুটবল দুনিয়ায় শুরু হয়েছে জল্পনা। তা হলে কি নকল ট্রফি নিয়েই দেশে ফিরে গিয়েছে চেলসি? একই সঙ্গে প্রত্যাশার পারদ চড়তে শুরু করেছে আগামী বছরের বিশ্বকাপ নিয়েও। আমেরিকায় হতে চলা ফিফা বিশ্বকাপে মার্কিন রাষ্ট্রপতি আর কী কী চমক দেখান, এখন সে কথাই ভাবছেন ফুটবলপ্রেমীরা।