আজকের ব্যস্ততার জীবনে, মানসিক চাপ এবং অনিদ্রার মতো সমস্যাগুলি সাধারণ হয়ে উঠেছে আমাদের জীবনে। তাইতো শিরোধারার মতো প্রাচীন আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা আবারও মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। এটি কেবল মনকে শান্ত করে না বরং পুরো শরীরকে হালকা করতেও সাহায্য করে। শিরোধারা থেরাপিতে, কপালে কিছুটা অল্প উষ্ণ তেল ঢেলে দেওয়া হয়, যা স্নায়ুতন্ত্রকে শিথিল করে এবং মনকে শান্ত করে।
আয়ুর্বেদের মতে, এটি ক্লান্তি, উদ্বেগ এবং মাইগ্রেনের মতো সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে কার্যকর। আজকের সময়ে যখন মানসিক স্বাস্থ্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে, তখন শিরোধারা আবারও একটি প্রাকৃতিক প্রতিকার হিসেবে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে।
শিরোধারা একটি প্রাচীন আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে কপালে ধীরে ধীরে উষ্ণ তেল ঢেলে দেওয়া হয়। এই তেল সরাসরি তৃতীয় নয়নের (আজ্ঞা চক্র) উপর পড়ে, যা মনকে গভীর শান্তি প্রদান করে। তেলের উষ্ণতা এবং ম্যাসাজের প্রভাব স্নায়ুতন্ত্রকে শান্ত করে, চাপ এবং উদ্বেগ হ্রাস করে।
জাজবাত বাংলায় আরও পড়ুন
আজকের সময়ে, মানসিক চাপ এবং অনিদ্রার সমস্যা সাধারণ হয়ে উঠেছে। শিরোধারা থেরাপি এই সমস্যাগুলি মোকাবেলায় কার্যকর। এটি মস্তিষ্কে সেরোটোনিন এবং মেলাটোনিন হরমোনের মাত্রা ভারসাম্যপূর্ণ করে। তাতে ঘুমের মান উন্নত হয় এবং মনকে শান্ত করে।
সাধারণত শিরোধারার জন্য তিলের তেল, বাদাম তেল অথবা নারকেল তেল ব্যবহার করা হয়। এই তেলগুলিতে ঔষধি গুণ রয়েছে যা ত্বক এবং চুলের জন্যও উপকারী। কিছু ক্ষেত্রে, ডাক্তারের পরামর্শে ঔষধি তেলও ব্যবহার করা হয়।
শিরোধারা সাধারণত নিরাপদ বলে মনে করা হয়, তবে কিছু মানুষের এই তেলে অ্যালার্জি থাকতে পারে। গর্ভবতী মহিলা, উচ্চ রক্তচাপের রোগী এবং ত্বকের সংক্রমণে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করার পরেই এই থেরাপি গ্রহণ করা উচিত।
জাজবাত বাংলায় আরও পড়ুন
শিরোধারার অন্যান্য উপকারিতাও রয়েছে। চুল এবং ত্বকের জন্য এটি খুব ভালো। শিরোধারা কেবল মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যই নয়, চুল এবং ত্বকের জন্যও উপকারী। তেল ম্যাসাজ মাথার ত্বকে পুষ্টি জোগায়, যা চুল পড়া কমায় এবং ত্বকের উন্নতি করে।
আজকের সময়ে যখন সবাই মানসিক চাপ এবং ক্লান্তির সঙ্গে লড়াই করতে ব্যস্ত, তখন শিরোধারার মতো প্রাকৃতিক চিকিৎসার চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে। এটি কেবল শারীরিক নয়, মানসিক স্বাস্থ্যেরও উন্নতি করতে সাহায্য করে। আধুনিক জীবনযাত্রার জন্য একটি আদর্শ চিকিৎসা।