সুদীপ্ত চট্টোপাধ্যায়– ঢাকে কাঠি পড়তে চলেছে ঐতিহ্যবাহী ডুরান্ড কাপের। আগামী ২৩ জুলাই থেকে কলকাতার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে শুরু হতে চলেছে দেশের সবচেয়ে প্রাচীন জাতীয় স্তরের ফুটবল টুর্নামেন্টটি। এ নিয়ে পরপর ছ’বার এই প্রতিযোগিতার উদ্যোক্তার ভূমিকায় কলকাতা। এ বছরের প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছে বাংলার চারটি দল। মোহনবাগান সুপার জায়ান্টস, ইস্টবেঙ্গল, মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব এবং প্রথমবারের মত ডায়মন্ড হারবার এফসি। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঐতিহ্যবাহী টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করবেন। উদ্বোধনী ম্যাচেই যুবভারতীর সবুজ গালিচায় নামবে ইস্টবেঙ্গল।
এ বারের ডুরান্ডে থাকছে মোট ২৪ টি দল। যাদের ভাগ করা হয়েছে ছয়টি গ্রুপে। গত বছর যেখানে ১২ টি আইএসএল দল অংশ নিয়েছিল, এ বছর খেলবে আইএসএল থেকে খেলবে মাত্র ৬ টি ক্লাব। যথাক্রমে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টস, ইস্টবেঙ্গল, নর্থ ইস্ট ইউনাইটেড, পাঞ্জাব এফসি, জামশেদপুর এফসি এবং মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। অন্যদিকে অংশ নেবে দুটি আন্তর্জাতিক দলও। নেপালের ত্রিভুবন আর্মি এফসি এবং মালয়েশিয়ার আর্মড ফোর্সেস টিম।
পাশাপাশি, এই বছর প্রথমবারের মত ডুরান্ডে নামছে একাধিক ভারতীয় দলও। এদের মধ্যে রয়েছে ডায়মন্ড হারবার এফসি, আইটিবিপি, সাউথ ইউনাইটেড এফসি, ওয়ান লাদাখ এবং নামধারী এফসি। টুর্নামেন্টের ম্যাচগুলি সরাসরি সম্প্রচার করবে সোনি স্পোর্টস নেটওয়ার্ক। যুবভারতীতে প্রতিযোগিতার উদ্বোধন ও চূড়ান্ত পর্ব হলেও পাঁচ শহরের ছয়টি ভেন্যুতে হবে ম্যাচ ডুরান্ড কাপের ফুটবল ম্যাচগুলি। যুবভারতী ছাড়াও ম্যাচ হবে কলকাতার কিশোর ভারতী স্টেডিয়াম,
কোকরাঝাড়, ইম্ফল, শিলং ও জামশেদপুর। চ্যাম্পিয়ন দলের হাতে রাষ্ট্রপতি ভবনে তুলে দেওয়া হবে প্রেসিডেন্ট’স কাপ।
এক টানা ছ’বার এই ঐতিহাসিক টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে পারা বাংলার জন্য গর্বের বলে মনে করছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস জানিয়েছেন, “এ বছর ডুরান্ড কাপে পুরস্কার মূল্য ১.২ কোটি থেকে বেড়ে হয়েছে ৩ কোটি। গোল্ডেন বল, গোল্ডেন বুট এবং গোল্ডেন গ্লাভস জয়ীদের জন্য পুরস্কার SUV।”
