অনুপ্রবেশ ইস্যুতে লাগাতার বিজেপির বিরুদ্ধে সরব তৃণমূল কংগ্রেস। এমনকী সীমান্ত নিয়েও সুর চড়িয়েছে শাসকদল। এই ইস্যুতে শাসকদল তৃণমূলকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জবাব, তৃণমূল অনুপ্রবেশকারী হয়ে সরাসরি নেমে পড়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কথায়, অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে সংবিধান অনুযায়ীই পদক্ষেপ করা হবে। বঙ্গ বিধানসভা ভোটের বাকি আর কয়েকটা মাস। এবারের নির্বাচনকে পাখির চোখ করে ইতিমধ্যে ময়দানে নেমে পড়েছেন মোদী-শাহ।
আর সেই লক্ষ্যেই এদিন শিল্পের শহর দুর্গাপুরে সভা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বাংলার জন্য একগুচ্ছ প্রকল্প ঘোষণার পাশাপাশি রাজনৈতিক সভাতেও যোগ দেন। আর সেই মঞ্চ থেকে অনুপ্রবেশ সহ আরজি কর, কসবা সহ একাধিক ইস্যুতে শাসকদল তৃণমূলকে আক্রমণ শানান। বলেন, রাজ্যের সরকারি হাসপাতালও মেয়েদের জন্য সুরক্ষিত নয়। অপরাধীদের বাঁচাতে তৃণমূল কী করেছে তা আজ সবার সামনে স্পষ্ট বলে তোপ প্রধানমন্ত্রী।
এই বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে এদিন কসবাকাণ্ডের প্রসঙ্গও তোলেন নরেন্দ্র মোদী। তাঁর কথায়, কলেজের একটি মেয়ের উপর কীভাবে অত্যাচার হল? মোদীর কথায়, ওই ঘটনায় তৃণমূলের লোকেদের জড়িত থাকতে দেখা গিয়েছে। এছাড়াও মুর্শিদাবাদ নিয়েও এদিন দুর্গাপুরের সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে আক্রমণ শানান নরেন্দ্র মোদী। একই সঙ্গে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। বলেন, ‘‘মুর্শিদাবাদের মতো ঘটনা ঘটলে পুলিশ পক্ষপাতিত্ব করে’। মোদীর কথায়, বাংলায় আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। শুধু তাই নয়, শিক্ষাও বাংলায় প্রশ্নের মুখে তোপ।
অন্যদিকে এদিন মোদী আবারও সিন্ডিকেট ইস্যুতে তোপ দাগেন। বলেন, বিনিয়োগকারী সিন্ডিকেট দেখেই পালিয়ে যাচ্ছে। এমনকী তৃণমূলের গুন্ডাগিরি জন্যেও বাংলায় শিল্প আসে না বলে আক্রমণ শানান। তবে আগামিদিনে বিজেপি বাংলায় এলে ঢালাও উন্নয়নের কথা বলেন এদিন মোদী। তাঁর কথায়, শিল্পসমৃদ্ধ\ রাজ্য হয়ে উঠবে বাংলা। যা দেশের অন্যতম হবে। তবে এজন্য বাংলার মসনদ থেকে তৃণমূলকে সরানোর ডাক দেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তাঁর কথায়, শিল্প থেকে কর্মসংস্থান সবেতেই বাংলা উপরের দিকে থাকে, সেই মতো গড়তে হবে। বাংলা ভাষায় মোদী বলেন, ‘‘বাংলা পরিবর্তন চায়। বাংলা উন্নয়ন চায়।’’
এদিন বক্তব্যের শুরুতেই ‘জয় মা কালী’র নামে আওয়াজ তোলেন মোদী। আর এখানেই প্রশ্ন, বাংলার মন পেতে আর জয় শ্রী রামে নয়, কালীতে ভরসা বঙ্গ বিজেপির। আদৌতে বাঙালি হওয়ার চেষ্টা বলেও কটাক্ষ রাজনৈতিকমহলের।