সম্প্রতি নিজের আগামী ছবি ‘মলিউড টাইমস’-এর জন্য পুজোয় যোগদান করেছিলেন তারকা মলয়ালি অভিনেতা ফাহাদ ফাসিল। সেই অনুষ্ঠানের একটি ভিডিয়ো হয়েছে ভাইরাল। যেখানে দেখা যাচ্ছে অভিনেতার হাতে একটা ‘কিপ্যাড’ ফোন। যা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। টাচস্ক্রিন স্মার্ট ফোনের যুগে তারকা অভিনেতার হাতে কিপ্যাড ফোন দেখে যত না হতবাক নেটিজ়েনরা, তার থেকেও বেশি তার দাম শুনে চক্ষু চড়কগাছ সকলের।
হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ফাহাদের হাতে যে কিপ্যাড (আগেকার দিনে বোতাম টিপে ব্যবহার করা হতো) ফোন আদতে লন্ডনের এক সংস্থার তৈরি লাক্সারি মডেল। সংস্থার নাম ‘ভার্টু’। এই মডেলের নাম ‘অ্যাসেন্ট রেট্রো ক্লাসিক কিপ্যাড ফোন’ এবং এর দাম মার্কিন ডলারে ১১ হাজার ৯২০। ভারতীয় মুদ্রায় এই ফোনের দাম ১০ লক্ষের একটু বেশি যা আইফোনের লেটেস্ট মডেলের দামেরও প্রায় ১০ গুণ। ২০০৮ সালে এই মডেল লঞ্চ করা হয় এবং আপাতত ব্র্যান্ডের ওয়েবসাইটে ‘আউট অফ স্টক’ অর্থাৎ এই মুহূর্তে মিলছে না ফোনটি।
পুরনো ধাঁচের এই ফোন একেবারে ‘আনস্মার্ট’ নয়। টাইটেনিয়ামে তৈরি এই ফোনে হাতে সেলাই করা চামড়া দিয়ে ফিনিশিং করা হয়, যাতে রয়েছে স্যাফায়ার ক্রিস্টাল। এতে ব্লুটুথ, জিপিআরএস, এসএমএস, এমএমএস, সমস্ত সুবিধাই রয়েছে। ফোনের ধারের একটি বোতামের সাহায্যে বিশ্বের প্রায় ১৭০টিরও বেশি দেশে যে কোনও দিন যে কোনও সময়ে প্রবেশাধিকার রয়েছে। ১৭৩ গ্রাম ওজনের এই ফোন ২২ মিমি চওড়া। ফোনের কিপ্যাডটি স্টেনলেস স্টিলে তৈরি।
জুন মাসেই অপর মলয়ালি অভিনেতা বিনয় ফোর্ট এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন ‘পুষ্পা’ অভিনেতা খুব সাধারণ জীবনযাপন করতেই ভালোবাসেন। তিনি সোশ্যাল মিডিয়া এড়িয়ে চলেন, ব্যবহার করেন না স্মার্টফোনও, তার বদলে হাতে থাকে ‘বেসিক কিপ্যাড ফোন’। বলাই বাহুল্য খুব ‘বেসিক’ না হলেও এই ফোনের সাহায্যে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরেই থাকেন অভিনেতা। ২০২৩ সালে পিঙ্কভিলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অভিনেতা বলেছিলেন, ‘আমার কোনওদিনই সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট ছিল না। কলেজে পড়ার সময় ফেসবুকে ছিলাম, ব্যাস ওটুকুই। আমি মানুষের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে মিশতে পছন্দ করি। আমি চিরকালই এরকম এবং আমি বদলাতে চাই না।’