বাংলায় এসে একাধিক সময় ‘রামে’র নামে ঝড় তুলেছেন বিজেপি নেতারা। এমনকী সে পথে হেঁটেই বঙ্গ বিজেপি নেতারাও রামের নামে মানুষের মন পাওয়ার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু গত বিধানসভা ভোটে তো বটেই, এমনকী লোকসভা নির্বাচনেও ‘রাম-নাম’ কাজে আসেনি। আর তাই এবার বাঙালির মন পেতে কালী-দুর্গায় সহায় মোদী শাহ কোং।
কয়েকদিন আগেই রাজ্য সভাপতি হিসাবে শমীক ভট্টাচার্যের সংবর্ধনামঞ্চে কালীঘাটের কালীর ছবি দেখা যায়! সেই সময় থেকেই অনেকে বলতে থাকেন, রাম ছেড়ে কালীর সহায় বঙ্গ বিজেপিনেতারা। সেই জল্পনার মধ্যেই আজ শুক্রবার দুর্গাপুরে সভায় বক্তব্যের শুরুতেই দুর্গা এবং কালীর নামে জয়ধ্বনি দিয়ে বক্তব্য শুরু করেন নরেন্দ্র মোদী। আর তা নিয়ে খোঁচা দিতে ছাড়ল না তৃণমূল কংগ্রেস। এই বিষয়ে রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ ও রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য সাংবাদিক বৈঠক করেন।
আর সেখানেই তাঁদের খোঁচা, নরেন্দ্র মোদী বাংলায় এসেছেন বলেই একবারও রামের নাম নিলেন না! মোদীর মুখে শোনা গেল দেবী দুর্গা, দেবী কালীর নাম। তাহলে এবার রাম স্মরণ থেকে সরছে বঙ্গ বিজেপি? কটাক্ষ শাসকদলের। এছাড়াও এদিন দুর্গাপুরের সভা থেকে বাংলায় একাধিক প্রকল্পের শিলান্যাস করেন প্রধানমন্ত্রী। তা নিয়েও এদিন তৃণমূলের তরফে আক্রমণ করা হয়েছে। কুণাল বলেন, “দৃশ্যমান বকেয়া দিচ্ছেন না, অদৃশ্য ৫ হাজার কোটি দেখিয়ে গেলেন।”
১০০ দিনের কাজ সহ একাধিক প্রকল্পে কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের বকেয়া রয়েছে। সেই ইস্যুতে একাধিকবার পথে নেমে বিক্ষোভ-আন্দোলন করেছে শাসকদল তৃণমূল। এমনকী কখনও দিল্লিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ধরনায় বসেছেন, আবার কখনও কলকাতায় বকেয়া মেটানোর দাবিতে বিক্ষোভ আন্দোলন করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কাজ হয়নি! তা তুলেই এদিন কুণাল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ‘মিথ্যাচারী’ বলে আক্রমণ শানিয়ে বলেন, উন্নয়ন নিয়ে দেশের প্রধানমন্ত্রী একরাশ মিথ্যা তথ্য দিয়ে গেলেন। কেন বকেয়া মেটাচ্ছেন না? প্রশ্ন তোলেন প্রাক্তন সাংসদ।
তাঁর কথায়, উনি খালি হাতে এসে বড় বড় কথা বলছেন। বাংলার ১ লক্ষ ৭০ হাজার কোটি টাকার বেশি বকেয়া পাওনা। কেন তা মেটানো হচ্ছে না তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তৃণমূল নেতা।