শ্রাবণ মাসে চুল পড়ার সমস্যা খুবই সাধারণ। এই সমস্যাকে উপেক্ষা করলে আপনার টাক পড়ার ঝুঁকি অনেক গুণ বেড়ে যেতে পারে। অনেকেই বলেন, মানসিক চাপের কারণে চুল পড়ার সমস্যা বেড়ে যায়। কিন্তু যদি চুল পড়ার কারণে মানসিক চাপ থাকে, তাহলে? কেউ বিশ্বাস করুক বা না করুক, নারী হোক বা পুরুষ, সবারই চুল পড়ার টেনশন আছে।
এক্ষেত্রে, সবার আগে সকলেই শ্যাম্পু-কন্ডিশনার এবং অন্যান্য চুলের যত্নের পণ্য পরিবর্তনের দিকে বেশি নজর দেয়। তবে, চুল পড়ার অনেক কারণ রয়েছে। যদি আপনার চুল পড়া পুষ্টির অভাবের কারণে হয়, তাহলে আপনি যত তেল এবং শ্যাম্পুই পরিবর্তন করুন না কেন, চুল পড়ার সমস্যায় কোনও উল্লেখযোগ্য পার্থক্য নেই। এমন পরিস্থিতিতে, আপনি আয়ুর্বেদিক টিপস অনুসরণ করতে পারেন। আজ এই বিষয়ে বিস্তারিত জানাবো।
পুষ্টিবিদরা চুলের জন্য একটি সেরা পানীয়ের কথা বলেছেন। চুল পড়া রোধের জন্য সেরা ঘরোয়া প্রতিকারের কথা বলেছেন। এই রেসিপিটির বিশেষত্ব হল, সহজেই বাড়িতেই এতে ব্যবহৃত উপাদানগুলি খুঁজে পাবেন। বলতে গেলে ভীষণ সাশ্রয়ী এবং আরও কার্যকর রেসিপি। এই রেসিপিটি তৈরির জন্য প্রথমে একটি পাউডার তৈরি করতে হবে। এই পাউডার আপনি জলে মিশিয়ে একটি পানীয় তৈরি করতে পারেন।
রেসিপিতে ব্যবহৃত উপকরণ
রেসিপিতে ব্যবহৃত উপকরণ
১ কাপ শুকনো কারি পাতা
১/৪ কাপ মেথি বীজ
১/৪ কাপ শুকনো আমলকি গুঁড়ো অথবা তাজা আমলকি
১/৪ কাপ তিল বীজ
১-২ টেবিল চামচ শুকনো জবা ফুলের পাপড়ি।
পাউডার তৈরির পদ্ধতি: এই গুঁড়ো তৈরি করতে, শুকনো কারি পাতা, মেথি বীজ, তিল বীজ এবং জবা ফুলের পাপড়ি একটি প্যানে কম আঁচে ভাজতে হবে। এরপর, ব্লেন্ডার দিয়ে সমস্ত ভাজা উপকরণ ভালো করে পিষে নিতে হবে। এবার এতে আমলকির গুঁড়ো অথবা তাজা আমলকি মিশিয়ে আবার ব্লেন্ড করুন। শেষ ধাপে, প্রস্তুত পাউডারটি একটি এয়ারটাইট পাত্রে ঠান্ডা জায়গায় সংরক্ষণ করতে হবে।
কিভাবে ব্যবহার করবেন
দিনে একবার বা দুবার এই কারি পাতার মিশ্রণের গুঁড়ো ১-২ চা চামচ গরম জল বা বাটারমিল্কের সাথে পান করা যেতে পারে।
আপনি এটি আপনার স্মুদি, জুসে মিশিয়ে, অথবা আপনার খাবারের উপর ছিটিয়েও খেতে পারেন।
এবার জানা যাক এই পাউডারে ব্যবহৃত উপকরণগুলোর উপকারিতা….
কারি পাতা: অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, প্রোটিন এবং প্রয়োজনীয় ভিটামিন যেমন এ, বি, সি এবং ই সমৃদ্ধ। এগুলি চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে এবং চুলের অকাল পেকে যাওয়া রোধ করতে সাহায্য করে।
মেথি বীজ: চুলের গোড়া পুষ্ট করে এবং চুল পড়া রোধ করে।
আমলকি: ভিটামিন সি সমৃদ্ধ। এটি চুল মজবুত করে এবং ভাঙা রোধ করে।
তিলের বীজ: এগুলি অপরিহার্য ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ এবং মাথার ত্বকে পুষ্টি জোগাতে সাহায্য করে।
জবা ফুল: চুলের বৃদ্ধি এবং চুলের শিকড় মজবুত করতে ব্যবহৃত হয়।